অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী : ডায়াবেটিক রোগীদের বেশির ভাগ সময় ঘরে বসে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করে দেখতে হয়। পরীক্ষার ফল আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়।
আঙুলের ডগা থেকে রক্তের নমুনা নিয়ে একটি ধারালো সুচ, যাকে বলে ল্যান্সেট, তা দিয়ে ফুটান আঙুলের ডগা।
রক্ত বেরোবে, আর সেই রক্ত লাগাতে হবে টেস্ট স্ট্রিপে এবং তা ঢোকাতে হবে গ্লুকোমিটারে। ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ফল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। এই তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে। গ্লুকোমিটার, ল্যান্সেট আর টেস্ট স্ট্রিপ স্থানীয় ফার্মেসিতেই পাওয়া যাবে।
এ ছাড়া আছে অন্য রকম কিছু মিটার, যা উরুদেশ, বাহু, হাত আর বুড়ো আঙুল থেকে নমুনা মাপতে পারে। তবে আঙুলের ডগা থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা খালি পেটে আর আহারের পরের নমুনার পরিমাপ তুলনামূলকভাবে নির্ভুল ফল দেয়।
চাইলে অবিরাম গ্লুকোজের মান নজরদারি সিস্টেমও ব্যবহার করা যায়। এই ডিভাইস যুক্ত থাকে ইনসুলিন পাম্পের সঙ্গে।
কখন কখন মাপতে পারেন রক্তের গ্লুকোজ?
* সাধারণত খালি পেটে সকালে
* প্রাতরাশের দুই ঘণ্টা পর
* আবার অনেক সময় দুপুরের খাবারের দুই ঘণ্টা পর
* শোয়ার আগে
* আবার অনেক সময় ব্যায়ামের পর
* ড্রাইভিংয়ের আগে
* রক্তের গ্লুকোজ কমেছে মনে হলেও মাপতে হবে
প্রত্যেকের ব্যাপার আলাদা, তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ভালো হয়।
রক্তের গ্লুকোজের ওপর কী কী বিষয় প্রভাব ফেলে?
* রক্তশূন্যতা
* গেঁটে বাত
* গরমকাল বা আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়া
* উচ্চতা
ল্যাবে মাপতে হবে এইচবিএ১সি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য এইচবিএ১সি মাপা প্রয়োজন। এটি ঘরে মাপা যায় না, ল্যাবে ছয় মাসে একবার মাপতে হয়। এইচবিএ১সি আমাদের গত তিন মাসের গড় রক্তের গ্লুকজের মাত্রা জানায়। রক্তের গ্লুকোজ মানের সঙ্গে এইচবিএ১সির পারস্পরিক সম্পর্ক :
রক্তের গ্লুকোজ
গড় মান (মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার)
এইচবিএ১সি
১২৬ ৬
১৫৪ ৭
১৮৩ ৮
২১২ ৯
২৪০ ১০
কখন চিকিেকর পরামর্শ নেবেন?
ডাক্তারের কাছে জেনে নিতে হবে নিজের রক্তের গ্লুকোজ রেঞ্জ কত? আর কিভাবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় আর কখন ডাক্তার দেখাতে হবে? আর উপসর্গ হলে কী করতে হবে সেটাও জেনে নিতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।