জুমবাংলা ডেস্ক: বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর দেওয়া বক্তব্যকে তার ব্যক্তিগত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তার (আমু) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন কাগজে বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটি দল, সরকার এমনকি ১৪ দল কোথাও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর তার প্রতি সহানুভুতি জানাতে তার বাড়ির দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও দরজা খোলেননি, সেই দলের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেছেন এবং আলোচনায় বসার ইচ্ছা ব্যক্তও করেছিলেন। যারা এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস চালায়, মানুষের ওপর হামলা চালায় তাদের সঙ্গে আলোচনা কতটুকু ফলপ্রসূ বা আলোচনা করে কি হবে সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।’
তাহলে কি আলোচনার সুযোগ নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন বিএনপির যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ থাকে সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে, আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিশ্বের কাছে উদাহরণ স্বরুপ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটি আমরাও চাই।’
নির্বাচনে আসতে বিএনপি যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তির শর্ত দেয়, তাহলে সরকারের অবস্থান কি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে চাইলেই সরকার মুক্তি দিতে পারবেন না, উনি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এটি তো আদালতের এখতিয়ার। সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবেন না।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ১৪ দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির উদ্দেশে আমির হোসেন আমু বলেছিলেন, ‘ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার ফন্দিফিকির আপনারা করেছেন। আজকেও করার অপচেষ্টা করেছেন। বিগত সময় যেমন জাতিসংঘ তারানকো সাহেবকে পাঠিয়েছিলেন, আমাদের দুই দলকে একসঙ্গে নিয়ে মিটিং করে বুঝেছিলেন। আজকেও প্রয়োজনে এই ধরনের গড়াগড়ি না করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল আসুক।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাধা কোথায়? কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়। এটা আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে।
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মাঝে বিদ্যুৎ নিয়ে সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।