রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের আগে বড় বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে আলাস্কায়। বৈঠকস্থল অ্যাঙ্কোরেজের রাস্তায় ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়েছে বাসিন্দারা। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আমন্ত্রণের জন্য ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন তারা। এছাড়াও ইউক্রেন ইস্যুতে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে শান্তি আলোচনায় না রাখায়ও নিন্দা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেসময় শহরের রাস্তায় প্ল্যাকার্ড, ইউক্রেনের পতাকা হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। দ্যা ট্যালিগ্রাফ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রবীণ টমাস জানিগলো বলেছেন, ‘আমাদের মিত্রদের সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ। সভ্য দেশগুলোর সামরিক আগ্রাসনকে পুরস্কৃত করা উচিত নয়।
ইউক্রেনের নীল এবং হলুদ রঙের টি-শার্ট এবং জ্যাকেট পরা ৭৫ বছর বয়সি পাম বারবেউ বলেছেন, যেকোনো শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত করা ‘গুরুত্বপূর্ণ’।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ইউক্রেনকে নিয়ে, এটি আমাদের দেশ নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও নয়। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির শুরু থেকেই এখানে থাকা উচিত।’
আন্দোলনকারী ৬৭ বছর বয়সি ম্যারিলেন ল্যাম্বার্ট বলেছেন- ইউক্রেনের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘একজন যুদ্ধাপরাধীকে ইউক্রেনের কী হবে তা নির্ধারণ করতে দেওয়া ভয়াবহ।
পুতিন যদি ইউক্রেনে শান্তি চান তবে তাকে কেবল আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। কিন্তু তিনি তা পারবেন না। তিনি শুধু ট্রাম্পকে খুশি করতে পারেন। আমি শান্তির জন্য প্রার্থনা করি কিন্তু আমি মনে করি না যে এই দুজন মধ্যস্থতাকারী হবেন।’
মি. লুশচিক, যিনি ছয় বছর বয়সে ইউক্রেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হয়েছিলেন, তিনি বলেন, ‘আমি সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতি এটাই আশা করতে পারি তা হলো এক ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি দেয়া। এটি শান্তির দিকে সত্যিই একটি ভালো পদক্ষেপ হবে।’
আলাস্কায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকের আগে ভ্লাদিমির পুতিন একটি নতুন পারমাণবিক অস্ত্রধারী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্যাটেলাইট চিত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
দেখা গেছে, নোভায়া জেমলিয়ার বারেন্টস সাগর দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত রাশিয়ার পানকাভো পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রে সা¤প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই স্থানে কর্মী এবং সরঞ্জামের পাশাপাশি ৯এম৭৩০ বুরেভেস্টনিক (স্টর্ম পেট্রেল) জাহাজ এবং বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটি পশ্চিমা নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে-রাশিয়া বুরেভেস্টনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মস্কোর দাবি এটি সীমাহীন পাল্লার শক্তিশারী যন্ত্র। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণের সঙ্গে জড়িত গবেষকদের একজন জেফ্রি লুইস বলেছেন, ‘আমরা পরীক্ষাস্থলে সব কার্যকলাপ দেখতে পাচ্ছি, যার মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণে সরবরাহ, যা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের স্থানের অপারেশন এবং চলাচলে সহায়তা করার জন্য আসছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।