বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে গডফাদার ছাড়া নাকি জায়গা পাওয়া যায় না। এই ধারণা আংশিক সত্য। সত্যিই ইদানিং বলিউডে রয়েছে স্টারকিডদের জন্য অবারিত দ্বার। নবাগতদের জন্য এখানে সুযোগ পাওয়াটা বেশ কঠিন। আজ যারা বলিউডের সুপারস্টার একসময় তারাও খুব কষ্ট করে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সফল হয়েছেন। কোনও সাহায্য ছাড়াই তারা নিজেদের বলিউডে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন কারা? দেখে নিন –
অমিতাভ বচ্চন : বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সারাবিশ্ব জানে তিনি একজন সেলিব্রিটি। তবে সেলিব্রিটি হওয়ার আগে নিতান্তই এক সাধারণ মানুষ ছিলেন অভিনেতা যিনি বলিউডে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখে মেরিন ড্রাইভে রাত কাটাতেন। রেডিও সংস্থায় চাকরি করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। তবে তার আওয়াজের জন্য তাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। আজ তিনি যেমন জনপ্রিয়, তেমনই জনপ্রিয়তা রয়েছে তার গলার আওয়াজে যা একসময় গম গম করে তুলতো গোটা সিনেমা হল।
মিঠুন চক্রবর্তী : শুরুর দিনগুলোতে বলিউডে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন মিঠুন। দিনের শেষে খাবার জুটবে কিনা সেটাও জানতেন না। এই বাঙালি অভিনেতাকে অনেক সংগ্রাম করে বলিউডে নিজের জায়গা ছিনিয়ে নিতে হয়েছে। আজ সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি তাকে দাদা বলে জানে। নাচ এবং অভিনয়ে তাকে টেক্কা দেওয়ার মত তারকা খুব কম রয়েছে বলিউডে।
জনি লিভার: বলিউডের অসংখ্য ছবিতে কমেডি অভিনেতা হিসেবে সুনাম পেয়েছেন জনি লিভার। বলিউডে যখন তিনি প্রথম পা রাখেন তখন তার অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তখন তার হাতে কাজ খুব কম থাকতো। সংসার চালাতে তখন নিজের একটি বাদ্যযন্ত্র ভাড়া দিয়ে মাসে ১০০০-১৫০০ টাকা উপার্জন হত।
নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি : নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীও শূন্য থেকেই শুরু করেছেন। রসায়ন নিয়ে স্নাতক পাস করে পড়াশোনার শেষে রসায়নবিদ হিসেবে এক বছর কাজ করেছিলেন। তারপর অভিনয় করতে শুরু করেন অভিনেতা। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার তার ডেবিউ হয়। আজ বলিউড সুপারস্টারদের মধ্যে তার নাম গোনা হয়ে থাকে।
শাহরুখ খান : শাহরুখ খান যখন দিল্লি থেকে হিরো হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাইতে এসেছিলেন তখন তার কাছে খাবার এবং মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের কোনও সুরাহা ছিল না। রাস্তায় শুয়ে দিন কাটাতেন আজকের সুপারস্টার। তার মাথায় হাত রাখার মতো কোনও গডফাদারের হদিসও ছিল না বলিউডে। জিরো থেকে হিরো হওয়ার গল্পের নায়ক খোদ শাহরুখ খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।