জুমবাংলা ডেস্ক : টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনিত হয়েছে। সিলেটে পানিবন্দি ১০ লাখ মানুষ পড়েছেন নানা সংকটে। সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের আশ্রয় দিতে ৫১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
এদিকে, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা দুর্গতদের জন্য সরকারী ভাবে ৮০ লাখ টাকা ও এক হাজার মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারে ধলই নদীর তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। নেত্রকোনায় পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে এলেও উজানের ঢল অব্যাহত রয়েছে। জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি প্রায় ১০ লাখ মানুষ। সাড়ে ৬শ’ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ২০ হাজার মানুষ। বন্যায় সিলেট নগরীতে দুর্ভোগ চরমে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার সঙ্কট।
বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ত্রাণ বিতরণ শেষে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বানবাসী মানুষের জন্য প্রাথমিকভাবে ৮০ লাখ টাকা ও এক হাজার মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। নিজেদের জানমাল রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্র উঠছে দুর্গতরা।
বন্যা কবলিতদের উদ্ধার ও নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করছে প্রশাসন। জেলায় ৫১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজারে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ধলই নদীর তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। ৭ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দী। এদিকে, নেত্রকোনায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল ডুবে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।