জুম-বাংলা ডেস্ক : রীতিমতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটে জিতে বর্ষসেরা পাখির অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ভীষণ লাজুক এবং বিরল প্রজাতির পেঙ্গুইন পাখি হোইহো। হোইহো নামটি এসেছে মাওরি ভাষা থেকে, এর অর্থ কোলাহলকারী।
৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। হলুদ চোখের এই পাখিটির পক্ষে তারা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন। পাখিটি শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ডেই পাওয়া যায়।
প্রতিযোগিতাটি পরিচালনাকারী সংস্থা ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ডের মতে, প্রতিযোগিতায় হোইহো ৬ হাজার ৩২৮ ভোটে জয়লাভ করেছে। আর ৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছে কারুরে চাথাম দ্বীপের কালো রবিন পাখিটি। এবার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হলো পাখিটি। এর আগে ২০১৯ সালেও প্রথম হয়েছে হোইহো। তবে ওই বছর অভিযোগ ওঠেছিল যে হোইহো শুধুমাত্র রুশ হস্তক্ষেপের কারণে জিতেছিল।
পাখিটির জন্য শত শত ভোট রাশিয়া থেকে এসেছে বলে জানা গেছে। তবে ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড বলেছে যে এগুলো সম্ভবত জালিয়াতি নয়। তবে রাশিয়ান পক্ষীবিদদের ভোট।
২০১৮ সালে, এমনও দাবি করা হয়েছিল যে অস্ট্রেলিয়ানরা শ্যাগের (এক ধরনের পাখি) পক্ষে প্রতিযোগিতায় কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল। হোইহো, যার মাওরি নামের অর্থ ‘শব্দ চিৎকার’, পাখিগুলো উচ্চস্বরে, তীক্ষ্ণভাবে ডাক দিলেও কুখ্যাতভাবে লাজুক।
আয়োজক সংস্থাটি বলেছে, এই জয় হোইহো প্রজাতির পাখি সংরক্ষণের প্রচেষ্টা বাড়াবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস অনুসারে, এটি একটি বিপন্ন প্রজাতির পাখি। এটি বিলুপ্তি থেকে তিন ধাপ দূরে এবং এর সংখ্যা কমছে।
ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ডের প্রধান নির্বাহী নিকোলা টোকি বলেন, ‘হোইহোর জিতে যাওয়ার মতো এই স্পটলাইটটি এর চেয়ে ভালো সময়ে আসতে পারত না।’ এই আইকনিক পেঙ্গুইনটি আমাদের চোখের সামনে মূল ভূখণ্ড আওটিয়ারোয়া (নিউজিল্যান্ড) থেকে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
স্থলভাগে হোইহো পাখি সংরক্ষণের প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু মিসেস টোকি বলেন, সমুদ্রেও তাদের প্রয়োজন। তারা সেট জালে ডুবে যাচ্ছে এবং পর্যাপ্ত খাবার খুঁজে পাচ্ছে না। আমাদের হোইহোকে তাদের বেঁচে থাকার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টিতে জরুরিভাবে সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা প্রয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।