জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্ত্রী ও ১৫ মাস বয়সি সন্তান রেখে শ্যালিকাকে নিয়ে দুলাভাই পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে দুলাভাইকে গ্রেফতার ও শ্যালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। উপজেলা দৌলখাড় ইউনিয়নের ভোলাকোট গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় রোববার নাঙ্গলকোট থানায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামি বশির আহমেদকে ভোলাকোট গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, ২ বছর আগে উপজেলার মৌকরায় বিয়ে করেন ভোলাকোট গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে বশির আহমেদ (২৩)। তাদের সংসারে ১৫ মাস বয়সি আবির হোসেন নামে একপুত্র সন্তান রয়েছে। স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি রেখে ৮ ফেব্রুয়ারি দুলাভাই শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে জানা যায়, দুলাভাই শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে এবং তার সঙ্গে সংসার করছেন।
বশিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, তার স্বামী তার ছোট বোনকে নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন। তিনি স্বামী বশিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। ১৫ মাস বয়সি ছেলেসন্তান আবির হোসেনকে নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তিনি।
মামলার বাদী বলেন, বড় মেয়েকে তার কাছে বিয়ে দিয়েছেন। ওই খানে ১৫ মাস বয়সি একটি নাতি রয়েছে ও ১৭ বছর বয়সী ছোট মেয়েটিকে তিনি ধর্ষণ করেছেন। তার শাস্তির দাবি করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ বলেন, এ ব্যাপারে ধর্ষকের শ্বশুর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি বশির আহমদকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।