জুমবাংলা ডেস্ক : অনুকুল আবহাওয়ায় পাইকগাছায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমের গুটিতে দুলছে আমচাষীর স্বপ্ন।
আম গাছের মুকুলের ডগায় ডগায় দোল খাচ্ছে আমের গুটি। দিন দিন বড় হচ্ছে আমের গুটি। আশা-হতাশায় আমের গুটিতে দোল খাচ্ছে আম চাষীর স্বপ্ন। নানা জাতের আম, স্বাধ এবং রংবেরঙের আমের রং লেগেছে চাষীর মনে। সোনালী এই স্বপ্ন পূরণে চাষীরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। বৈশাখের তান্ডব,ঝড়বৃষ্টি ও শীলাবৃষ্টি আমের শত্রু। চাষীর মনে রয়েছে শঙ্কা। প্রকৃতির সাথে মিতালী করে চাষীরা সোনালী স্বপ্ন বুকে ধারণ করে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভা ছাড়া বাকি ইউয়িনগুলোতে ছড়ানো ছিটানো সীমিত আমের গাছ রয়েছে। এ বছর আম বাগান থেকে ৫ হাজার ৮ শত মেট্রিকটন আমের ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এলাকায় স্থানীয় জাতের পাশাপাশি আম রূপালী, হিম সাগর, গোপাল ভোগ, বোম্বাই লতা, মল্লিকা, ল্যাংড়া, ফজলি সহ বিভিন্ন জাতের আম বাগানের সংখ্যা বেশি। তবে এ এলাকার গদাইপুরের বোম্বাই লতার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। আমের মুকুল থেকে যে পরিমান গুটি ধরেছে তাতে প্রচুর ফলনও হয়েছে। গদাইপুর গ্রামের আম চাষী মোবারক ঢালী জানান, গাছে মুকুল আসার আগে বাগান পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল আসার পরে ও আগে ছয় বার ছত্রাক নাশক স্প্রে করেছেন।আমের ভালো ফলন পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর অনুকূল আবহাওয়ায় আম গাছে প্রচুর পরিমাণ গুটি ধরেছে। প্রকৃতিক বিপর্যায়ের উপর কারও কোন হাত থাকে না। তবে বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে পাইকগাছার আম চাষীরা ভালো ফলন পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।