বিনোদন ডেস্ক : সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে সেই লোহার সিংহাসন। তার উপরই নজর সম্রাট-সম্রাজ্ঞীদের। সিংহাসনের দখল নেওয়ার পথে এক দিকে যেমন নৃশংসতার ছড়াছড়ি, অন্য দিকে রগরগে যৌনতা। এমনই এক তীব্র উৎকণ্ঠার নাম ‘গেম অফ থ্রোনস’।
২০১১ সাল থেকে চলে আসা সেই আমেরিকান ফ্যান্টাসি ধারাবাহিক নিয়ে আজও উন্মাদনার শেষ নেই। সেই সঙ্গে অভিনেতাদের নিয়েও দর্শকের অফুরান আগ্রহ। পর্দার রসায়ন রূপ পেয়েছে বাস্তবেও। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই চরিত্র ‘জন স্নো’ আর ‘ডায়নারিস টারগারিয়ান’-কে নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা।
আগুনে পোড়ে না সে, ড্রাগনের রক্ত আছে ডায়নারিসের শরীরে। ‘খালিসি’ বা ‘ডায়নারিস’ চরিত্রটিতে সফল ভাবে অভিনয় করেছেন এমিলিয়া ক্লার্ক। অন্য দিকে কিট হ্যারিংটন সাড়া ফেলেছিলেন ‘জন স্নো’-র ভূমিকায়। ধারাবাহিকে এই দুই তারকার দামাল প্রেম এবং সম্ভোগদৃশ্যে বার বার শিহরিত হয়েছেন দর্শক।
যদিও বাস্তবে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে নেই, কী ভাবে ক্যামেরার সামনে এতটা ঘনিষ্ঠ হতে পারলেন দুই তারকা? সেই কৌতূহল নিরসন করেছেন সদ্য। কিট বলেন, “এমিলিয়া আর আমি সাত বছর ধরে প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম। শুরুর দিকের পর্বগুলোতে কেবল চু’মু খেতে হত। আমরা সেটুকু রপ্ত করি। এর পর সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও সহজ হই। বন্ধুত্ব যেমন গাঢ় হতে থাকে, আমরা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেও সাবলীল হয়ে উঠি। শুরুতে হলে পারতাম না হয়তো। পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলতাম।”
সাত বছর ধরে চলেছে ধারাবাহিক। বিভিন্ন খাতে বয়েছে অভিনেতাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক। ‘গেম অফ থ্রোনস’-এর সহ-অভিনেত্রী রোজ় লেসলিকেই বিয়ে করেছেন কিট। এমিলিয়া তাঁদের দু’জনেরই খুব কাছের বন্ধু বলে জানান কিট। তাঁরা প্রায়ই একসঙ্গে নৈশভোজে যান এবং ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে হাসাহাসি করেন। তাঁর মতে, “আমরা সবাই অভিনয়টাকে পেশা হিসাবেই নিই। আবার পরস্পরকে ভালওবাসি। তবে ইয়ার্কি মেরে ভাব করেছি অনেক বার, যেন এমিলিয়াকে চু’মু খেতে গিয়ে আমার বমি আসছে! অবশ্য সবটাই মজা ছিল।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।