জুমবাংলা ডেস্ক : প্রায় একবছর ধরে ভিজিট ভিসা নীতি আগের চেয়ে অনেক শিথিল করেছে কানাডা। এই সুযোগে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক লোক ভিজিট ভিসায় কানাডা যাচ্ছেন। তবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিজিট ভিসায় কানাডায় যাচ্ছেন সিলেটের তরুণরা। সিলেটের শতাধিক কনসালটেন্সি ফার্ম ও ট্রাভেলস কানাডার ভিসা প্রসেসিং করছে। গেল এক বছরে কয়েক হাজার মানুষ ভিজিট ভিসায় কানাডায় গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কানাডায় বসবাসকারী কোন নাগরিকের ‘ইনভাইটেশন’ থাকলে ভিসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি এমন ধারণা থেকে এখন কানাডা গমনেচ্ছু সিলেটিরা ইনভাইটেশনের খুঁজে নেমেছেন।
চলতি বছরের শুরু থেকে কানাডা সরকার তাদের ভিজিট ভিসা নীতি শিথিল করে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পেশার লোকজন ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করেন। বেশিরভাগ আবেদনকারীর ভিসাও হয়ে যায়। এতে কানাডার ভিজিট ভিসা নিয়ে মানুষের মধ্যে আরও আগ্রহ বাড়ে।
কেউ একা আবার কেউ সপরিবারে কানাডার ভিজিট ভিসার আবেদন করেন। ভিসা পেয়ে অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন স্বপ্নের দেশ কানাডায়। ভিসা আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের পাশাপাশি কেউ কানাডায় বসবাসরত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ইনভাইটেশন লেটারও সাবমিট করেন। আবার কেউ কেউ হোটেল বুকিংসহ আবেদন করেন।
হোটেল বুকিং দিয়ে অনেকেই ভিসা পেলেও ভিসা প্রসেসিং প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদনের ক্ষেত্রে ইনভাইটেশনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আবেদনকারীকে কানাডায় বসবাসরত কোন আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব থাকলে ইনভাইটেশন লেটার আনতে উদ্ধুদ্ধ করছে। অনেক প্রতিষ্ঠান টাকার বিনিময়ে ইনভাইটেশনও ম্যানেজ করে দিচ্ছে। এজন্য তারা আবেদনকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছে।
কোন কোন প্রতিষ্ঠান ইনভাইটেশনসহ আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতাও দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা আবেদনকারীর কাছ থেকে আবেদনের সময় অগ্রীম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিচ্ছে। সেই সাথে নিচ্ছে এম্বেসি ফি। আর ভিসা হলে জনপ্রতি নিচ্ছে ৬ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত।
এদিকে, ভিসা প্রসেসিংকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইনভাইটেশন লেটারকে গুরুত্ব দেওয়ায় কানাডা গমনেচ্ছু সিলেটিরা এখন ছুঁটছেন ইনভাইটেশনের পেছনে। কানাডায় অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের কাছে ইনভাইটেশনের জন্য অনুরোধ করছেন। কেউ কেউ পরিচিতজনদের ইনভাইটেশনের বিনিময়ে টাকাও অফার করছেন। কিন্তু অনেকে ইনভাইটেশনের ব্যবস্থা করলেও ভিসা আবেদন রিফিউজ হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
ভিসা প্রসেসের কাজে নিয়োজিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কানাডার ভিজিট ভিসার জন্য ইনভাইটেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কানাডা সরকার ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই করে। আবেদনকারীর আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান এবং ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করেই ভিসা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ হোটেল বুকিং দিয়ে আবেদন করলেও ভিসা পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।