জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আমরা সরকারি কর্মচারীরা যে বেতন পাই তা দিয়ে ইলিশ মাছ কিনে খাওয়া সম্ভব না। আর আমি নিজেই ইলিশ কিনে খেতে পারছি না। আমি পটুয়াখালী এসে গত এক মাসে একবার ইলিশ মাছ খেতে পেরেছি। ইলিশ মাছের যে দাম তাতে প্রতিদিন ইলিশ খেলে বাকী সময় না খেয়ে থাকতে হবে।
এ কারণে আমাদের ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাই অনুগ্রহ করে ইলিশের প্রধান প্রজনন মওসুমের এই সময় কেউ মাছ শিকার করবেন না। যদি এই ২২ দিন মাছ শিকার বন্ধ রাখতে পারি এবং জাটকা নিধন না করি তবেই ইলিশের উৎপাদন বাড়তে এবং ইলিশের দাম কমে আসবে৷ এতে করে ইলিশ মাছ আবারও সাধারণ মানুষ কিনে খেতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ বাধঁনহারা হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ সরকার কাজ করছে পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কেও কাজ করতে হবে। কৃষিতে আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। একটু সচেতন হলে প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজনীয় শাক সবজি বাড়িতেই উৎপাদন করা সম্ভব। শহরের ক্ষেত্রে ছাদ বাগানেও শাক সবজির চাষাবাদ করা যেতো পারে।’
পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত আরা জামান উর্মি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,জনপ্রতিনিধি সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।