জুমবাংলা ডেস্ক : ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করায় সাংবাদিকসহ ২ জনের নামে মামলা করেছেন পটুয়াখালী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন।
বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম বরিশাল নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার মৃত মো. ওসমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে পটুয়াখালী সদর উপজেলার হকতুল্লা এলাকায় থাকেন। পটুয়াখালী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার পদে রয়েছেন।
বিবাদী মো. মাইনউদ্দিন খান নগরের জর্ডন রোড এলাকার বাসিন্দা পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার বরিশাল প্রতিনিধি। মামলার অপর বিবাদী আলমগীর মিঞা বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের মো. আবুল কাসেম মিঞার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর বিকেলে মাইনউদ্দিন খান তার ফেসবুক আইডি থেকে ‘বরিশাল সেটেলমেন্ট অফিসের সাবেক এক কর্মচারী, পটুয়াখালী সেটেলমেন্টে কর্মরত মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে কাজ না করায় ভুক্তভোগীর সঙ্গে ওই কর্মচারীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় জিডি করেছেন ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এতে বাদীর মান সম্মান ক্ষুণ্ন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, সরকারি চাকরি করায় সাবেক কর্মস্থলে সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে মাইনউদ্দিন খান জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা হয়েছে। যে ভিডিওটির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে ভুক্তভোগী নিজেই সেটেলমেন্টের ওই ব্যক্তিকে মারধর করে টাকা কবে দিবে সে কথা জিজ্ঞাসা করছিলেন। যা ভিডিওতেই শোনা যাচ্ছে আর ওখানে ভিডিওতে এডিটেড বিষয় নেই, যা আছে তাই সত্য। এছাড়া ওই ভিডিওর আগে রিকশায় থাকা সেটেলমেন্টের ওই ব্যক্তিও ভুক্তভোগীকে মারধর করে, যে ঘটনায় ভুক্তভোগী কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন। সঠিক তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।