লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেক সময় দেখা যায় বিড়ালদের দৌড়ে রাস্তা পার হতে এবং কিছু মানুষও কিছুক্ষণের জন্য থেমে যান। বলা হয়, যে যদি এমন পরিস্থিতিতে, না থামা হয় তাহলে সেই ব্যক্তির সাথে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেকেই কুসংস্কারের বসে থেমে যান। কিন্তু থামার পিছনে পেছনে থাকে অন্য এক বৈজ্ঞানিক কারণ।
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, মানুষ যাতে কোনো কুসংস্কার বা ভ্রান্ত ধারণায় বিশ্বাস না করে এবং প্রতিটি জিনিসকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে। বিড়াল নিয়ে এমন অনেক কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে এবং তা যুগ যুগ ধরে চলেও আসছে।
জানা গেছে, অতীতে ইঁদুরের কারণে প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল এবং মহামারীর কবলে পড়ে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যেহেতু বিড়ালের প্রধান খাদ্য ইঁদুর। তাই বিড়ালের মাধ্যমে যাতে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে তাই মানুষকে বিড়ালের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়। এরপর থেকে বিড়াল নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারনা ও কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়ে।
তবে এখনো পর্যন্ত বিড়ালকে নিয়ে অশুভ মনে করার কোন বৈজ্ঞানিক কারণ প্রমাণিত হয়নি। রাতের বেলায় বিড়াল বা অন্যান্য প্রাণীদের পার হওয়া নিয়ে মানুষ যতটা উদ্বিগ্ন হন, তার থেকেও সতর্ক হতে হবে যে আপনার গাড়ির দ্বারা তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাই কিছুক্ষণ গাড়ি থামানো উচিত যাতে তারা নিরাপদে পার হতে পারে।
খোলামেলা দৃশ্যে ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
বিজ্ঞানীদের মতে, বিড়াল রাস্তা কাটলে আপনার গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য থামানো উচিত, এর সাথে কোন কুসংস্কারের সম্পর্ক নেই। আসলে অনেক সময় হিংস্র প্রাণীরা নিরীহ প্রাণীদের পিছন পিছন ধাওয়া করতে থাকে। তাই এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি বিড়ালকে রাস্তায় ছুটে পার হতে দেখেন, তাহলে অবশ্যই গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য থামান। এমনটা না হলে ওই হিংস্র প্রাণীর সাথে আপনার গাড়ির সংঘর্ষ হবে এবং বড়সড়ো বিপদ ঘটতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।