লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে শারীরিক কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। দেখে মনে হতে পারে সুস্থ, সবল, নিরোগ। কিন্তু খানিকটা দ্রুত হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি ভাঙলে হাঁপিয়ে ওঠেন।
ভাবেত পারেন, এমনটা তো অনেকেরই হয়, চিন্তার কিছু নেই। অকারণ অবহেলায় রক্তে বেড়ে যায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা। পরে সমস্যা বাড়লে রক্ত পরীক্ষা করালে ধরা পড়ে তার দৌরাত্ম্য। উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি তো বটেই, কোলেস্টেরলের হাত ধরে হৃদযন্ত্রও দুর্বল হয়ে পড়ে।
উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনির ওপর চাপ তৈরি করে। যার থেকে ‘পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজ’-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই প্রকার রোগে ধমনিগুলো সরু হয়ে যায় ফলে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত ঠিক মতো পৌঁছাতে না পারলে শরীরের বিভিন্ন গাঁটে যন্ত্রণা শুরু হয়।
* কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে হাতের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে হাতের ধমনিগুলো সরু হয়ে গেলে হাতের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেনসহ রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। লেখার সময়, টাইপ করার সময় বা হাতের যেকোনো কাজ করার সময় ব্যথা অনুভূত হয়। হাতের জোর কমতে শুরু করে। একই কারণে ঘাড় ও হাতের সংযোগস্থলেও ব্যথা হয়।
* পায়ের পাতায় অনেক সময় এমন ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষত হাঁটার সময় বা দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে এই ব্যথা বাড়ে। এটিও শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার উপসর্গ হতে পারে।
* নিতম্বেও ব্যথা হওয়া উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। যদি মাঝেমধ্যেই নিতম্বে ব্যথা হয় তাহলে কিন্তু সেই লক্ষণ ভালো নয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে একবার রক্ত পরীক্ষা করে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা, তা দেখে নেওয়া জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।