জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে জামালপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে শহরের দেওয়ানপাড়ায় এ সংঘর্ষ হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চলা এ সংঘর্ষে অস্ত্র নিয়ে মহড়া, পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর ও পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নেতাকর্মী জানান, শনিবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয় জামালপুর শহরের স্টার কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী নিলোফার চৌধুরী মনি তাঁর গ্রুপের কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রবেশের সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের নেতাকর্মীদের কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন জানান, জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে সীমিত পরিসরে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল। এ সময় কেন্দ্রীয় নেত্রী নিলোফার চৌধুরী মনিসহ ৩০-৪০ জনের একটি দল হলরুমে প্রবেশের চেষ্টা করে। নির্ধারিত নেতাকর্মীর বাইরে সভাস্থলে প্রবেশের সুযোগ নেই বলে তাদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা দলীয় সেই নির্দেশনা না মানায় দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাকাধাক্কি ও পরে সংঘর্ষ হয়। তিনি বলেন, যারা দলীয় নির্দেশনা না মেনে বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘ভিডিও কনফারেন্স প্রোগ্রামের ক্রাইটেরিয়া অন্যায়ভাবে করেছে জেলা বিএনপি। যদি সঠিকভাবে ক্রাইটেরিয়া করা হতো, তাহলে আমাদের নেতাকর্মী ভেতরে প্রবেশ করতে পারত। আমার নেতাকর্মী যোগ দিতে এলে জেলা বিএনপির নেতাকর্মী সেখানে বাধা দেয় এবং আমাদের ওপর হামলা করে।’
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।