জুমবাংলা ডেস্ক : বখাটেদের মারধরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছেন এক কলেজছাত্রী। তবে বখাটেদের ভয়ে বাড়ি যেতে চান না তিনি। থাকতে চান হাসপাতালেই। তার দাবি, ‘বাড়িতে গেলে ওরা এবার আমাকে তুলে নিয়ে যাবে। আমার পরিবারের সাধ্য নেই, ওদের কাছ থেকে আমাকে রক্ষা করা। এ জন্য হাসপাতালই নিরাপদ।’
জানা গেছে, সোমবার (৯ মে) সকালে কলেজের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বাড়ির উঠান পেরোনোর পরপরই গফফার ও জব্বার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। দ্রুত ঘরে প্রবেশ করেন। পেছন পেছন তারাও ঘরে ঢুকে টেনেহিঁচড়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় বাবা, চাচা ও মাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করা হয়। তাকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা।
অভিযুক্তরা হলো- বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের নলছরা গ্রামের ফারুক সিকদারের ছেলে গফফার সিকদার ও জব্বার সিকদারসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী।
হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন কলেজছাত্রী জানান, দীর্ঘদিন খালার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে আসছেন। প্রতিদিন কলেজে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে গফফার তার দলবল নিয়ে উত্ত্যক্ত করে। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করে। বিষয়টি অভিযুক্তের পরিবারকে একাধিকবার জানালেও প্রতিকার মেলেনি। তবে উত্ত্যক্তের মাত্রা বাড়ে। এ কারণে বিভিন্ন সময় কলেজে যাওয়াও বন্ধ রাখেন। কিন্তু আবার কলেজে যাওয়া শুরু করলে একইভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করে ওই ৬/৭ বখাটে।
ভুক্তভোগীর খালা দাবি করেন, ‘আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার পর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে থানা থেকে আপস মীমাংসার নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হলেও কোন অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পরে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বসিয়ে রেখে একটা লিখিত অভিযোগ নেয়।’
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে কলেজে পড়ে। প্রতিবেশী সন্ত্রাসী গফফার, জব্বার সিকদারসহ আরও ৭/৮ সন্ত্রাসী কলেজে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে। ঘটনার আগের দিন রাতে তারা আমার মেয়েকে তুলে নিতে পারে জানতে পারি। তাই ৯৯৯-এ ফোন করে আমার দেবর। কিন্তু সকালেই ওরা ১০/১২ জন এসে হামলা চালায় ও মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম দাবি করেন, ‘দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীরাই অবশ্যই শাস্তি পাবে।’
এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গফফারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে রিসিভ করে। এরপর সাংবাদিক পরিচয় শুনে লাইন কেটে দেয়। পরে একাধিকবার কলা দেওয়া হলেও রিসিভ করেনি। এক পর্যায়ে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।