জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে শুক্রবার ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ আবুল কালাম নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
শনিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সীমান্তে বিএসএফ পোকামাকড়ের মতো বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে বিএসএফ তার ওয়াদা রাখেনি। সীমান্তে ধারাবাহিক হত্যা ভারতের সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়। অবিলম্বে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বলুন।
তিনি বলেন, বেশ কিছুকাল ধরে সীমান্তে বিএসএফ পোকামাকড়ের মতো বাংলাদেশিদের হত্যা করে আসছে। এটা বাংলাদেশকে দেওয়া বিএসএফের ওয়াদার বরখেলাপ। গত ৯ মার্চ ঢাকায় বিএসএফ প্রধান সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ঘোষণা করেন। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা তারা বন্ধ করেনি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। ভারতের এসব তৎপরতা কোনো সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়; বরং তাদের বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
সাইফুল হক বলেন, কেবল ২০২৩ সালে বিএসএফের হাতে ৩০ জনের বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর গত সাত বছরে বিএসএফের গুলি ও অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশি, আহত হয়েছেন অনেকে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্তে লেনদেনে সমস্যা হলেই বিএসএফ মারমুখী হয়ে উঠে এবং গুলি চালিয়ে বাংলাদেশি হত্যা করে।
সাইফুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকারের ভারত তোষণ নীতি বিশেষ করে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত অনুগত পররাষ্ট্র নীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, পানির ন্যায্য অংশীদারিত্ব, বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাসহ ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী বহুমুখী অপতৎপরতা বন্ধ করানো যায়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রায় প্রতিদিন ঘোষণা করছে, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ শিখরে তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ত দিয়ে এই বন্ধুত্বের নির্মম দায় শোধ করতে হচ্ছে।
সাইফুল হক বলেন, সরকার সীমান্তে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ দূরের কথা, এর উপযুক্ত প্রতিবাদ করার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। সীমান্তবর্তী লাখ লাখ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানেও তাদের দৃশ্যমান ও কার্যকরি কোনো উদ্যোগ নেই। গত ১৫ বছর শাসক দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে অবৈধ ও অনৈতিক ক্ষমতার পেছনে ভারতের চরম হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের এককাট্টা মদদ ও সমর্থনের বিনিময়ে বাংলাদেশকে তারা ভারতের অনুগত রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই পরিস্থিতি দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তায় গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে।
এটাই নাকি সবচেয়ে দ্রুতগামী ইলেকট্রিক মোটরবাইক! দাম কত জানেন?
তিনি অনতিবিলম্বে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ ও তা বন্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানেও কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।