মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের হরিরামপুরর উপজেলার চালা ইউনিয়নের উত্তর চাঁনপুর রতনদিয়া গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মাণ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
জানা যায়, উপজেলার চালা ইউনিয়নের উত্তর চাঁনপুর রতনদিয়া গ্রামের শামছুল মুন্সি ও তার ভাতিজা লাভলু উত্তর চাঁনপুর এলাকায় রাস্তার মাঝে দোচালা টিনের ঘর নির্মাণ করেছে। ওই রাস্তা দিয়ে বরুনা, উত্তর চাঁনপুর রতনদিয়া, কল্যাণপুর ও সাপাইর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই চার গামের বাসিন্দাদের। রিকশা-ভ্যানসহ ছোট ছোট যান চলাচলও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
উত্তর চাঁনপুর রতনদিয়া গ্রামের হাসান মুন্সি বলেন, আমাদের চলাচলের জন্য বিগত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সরকারি টাকায় একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতা দেখিয়ে সেই রাস্তার মধ্যে দোচালা ঘর তোলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে শামছুল মুন্সি ও লাভলু। এতে গ্রামবাসীর চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে, রাস্তা থেকে ঘরটি সরানো খুবই প্রয়োজন।
কালাম শেখ বলেন, চাঁনপুর ও রতনদিয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে শামছুল চাচা ও তার ভাতিজা লাভলু ভাই। ওই রাস্তা দিয়ে আমরা যাইতে পারি না। আমাদের খুবই কষ্ট হয়। আমাদের দাবি আমাদের রাস্তাটি খুলে দেওয়া হোক।
হালিমা খাতুন নামের এক নারী বলেন, রাস্তার মাঝে ঘর উঠানোর কারণে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা যাতায়াত করতে পারি না। এই এলাকায় ভালো রাস্তাঘাট না থাকায় এখানে কেউ বিয়েও করতে চায় না।
কৃষক মো. খলিল বলেন, আমরা কৃষি কাজ করে খাই। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ফসল নিয়ে বাজারে যেতে অনেক কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে শামছুল মুন্সির বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে দিয়ে কোন সরকারি রাস্তা নাই। আমরা ঘর তুলেছি মালিকানা জায়গায়। তাদের পায়ে হেঁটে চলাচলে আমরা কোন বাধা দেই নাই।”
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, আজকে ফোনে একজন বিষয়টি জানিয়েছে। আমি তাদের আমার অফিসে আসতে বলেছি। রাস্তা বন্ধ করার কোন সুযোগ নাই। ওসি সাহেবকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।