বিনোদন ডেস্ক : ১০ কোটি রুপি নিয়েও ফেরত দিচ্ছেন না রজনীকান্তের স্ত্রী লতা রজনীকান্ত। এমন অভিযোগে বেঙ্গালুরুর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় প্রতারণার মামলা। সম্প্রতি আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছেন তিনি। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতারণার এই অভিযোগ অস্বীকার করে লতা দাবি করেছেন, তাঁকে ‘তারকা হওয়ার মাশুল’ দিতে হয়েছে।
এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লতা রজনীকান্ত বলেন, ‘আমার কাছে এটি কোনো জনপ্রিয় ব্যক্তিকে অপমান, হয়রানি ও শোষণের ঘটনা। তারকা হওয়ার জন্য আমাদের এই মূল্য দিতেই হয়। হতে পারে এটা কোনো বড় মামলা নয়, কিন্তু এটাকেই বড় করে দেখা হবে। আমি কোনো জালিয়াতি করিনি।’
প্রসঙ্গত, চেন্নাইভিত্তিক অ্যাড ব্যুরো অ্যাডভারটাইজিং প্রাইভেট লিমিটেড লতা রজনীকান্তের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে প্রতারণার মামলাটি দায়ের করেছিল। অভিযোগকারীর দাবি, তামিল চলচ্চিত্র ‘কোচাদাইয়ান’-এর অন্যতম প্রযোজক মিডিয়া ওয়ানকে ১০ কোটি রুপি ধার দিয়েছিল। আর তাতে লতা রজনীকান্ত গ্যারান্টার হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলেন।
লতা রজনীকান্ত আরও বলেন, ‘যে টাকাগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কই নেই। সেটা মিডিয়া ওয়ান ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যকার বিষয়। তারা ইতিমধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করেছে এবং বিষয়টি তাদের মধ্যেই রয়েছে। আমি গ্যারান্টার হিসেবে শুধু নিশ্চিত করেছি যে তাদের অর্থ প্রদান করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল রজনীকান্ত ও দীপিকা পাড়ুকোনের সিনেমা ‘কোচাদাইয়ান’। এর মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় রজনীর ছোট মেয়ে সৌন্দর্যের। আর ১২৫ কোটি রুপি বাজেটে বানানো এই সিনেমার জন্য ১০ কোটি রুপি ঋণ নিয়েছিল লতার সংস্থা ‘মিডিয়া ওয়ান গ্লোবাল এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড’।
উল্লেখ্য, লতা প্রযোজনার পাশাপাশি প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবেও জনপ্রিয়। তিনি ‘টিক টিক টিক’ (১৯৮১), ‘আনবুল্লা রজনীকান্ত’ (১৯৮৪)সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় কণ্ঠ দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।