জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার কলাতলী সংলগ্ন সৈকতে শত শত সাদা নুইন্যা বা “হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ” মৃত ভেসে এসেছে। ভাটার সময় এসব জেলিফিশ দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সৈকতের কলাতলী পয়েন্টসহ একাধিক পয়েন্টে এসব মৃত জেলিফিশ ভেসে আসে। এ সময় বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সমুদ্র বিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী সেখানে গিয়ে তা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে যাচাই-বাচাই করেন।
তবে কি কারণে এত বিপুল সংখ্যক জেলিফিশ ভেসে এসেছে তাৎক্ষণিক বলতে পারেনি সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, জেলিফিশ স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে পারে না। এ কারণে জোয়ারে ভেসে আসা জেলিফিশ ভাটার সময় সৈকতে আটকা পড়ে। আবার অনেক সময় জেলেদের জালেও আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।
এই সমুদ্রবিজ্ঞানী বলেন, এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের জানা দুই হাজার প্রজাতির জেলিফিশের মধ্যে মাত্র যে ১২টি প্রজাতির জেলিফিশের খাদ্য মূল্য আছে তারমধ্যে সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ (Lobonemoides robustus) অন্যতম এবং এটি খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়। এই জেলিফিশটির অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র হচ্ছে বঙ্গপোসাগরের কক্সবাজার উপকূল।
বৃষ্টির মধ্যে আম্রপালির সঙ্গে উদ্দাম রোমান্সে মাতলেন নীরাহুয়া
সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে এসব সাদা নুইন্যা মৎস্যজীবীদের বিহুন্দি জালে অযাচিত ভাবে আটকা পড়ে মারা যায়। পরবর্তীতে কক্সবাজার, পটুয়াখালিসহ দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে। অযত্ন অবহেলায় সৈকতে পড়ে থাকা এই সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ (Lobonemoides robustus) খাদ্য হিসেবে ও প্রসাধন শিল্পে ব্যবহার হয়। বঙ্গপোসাগর সাদা নুইন্যা বা Lobonemoides robustus এর অন্যতম আবাস হলেও আমাদের দেশে এর কোন ব্যবহার নেই। অথচ বিশ্বে জেলিফিশের ৫.৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। আমরাও এই অবহেলিত সামুদ্রিক পণ্যটির স্থানীয় বাজার সৃষ্টিসহ রপ্তানি করে সুনীল অর্থনীতিতে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।