লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাইকেলকে শুধু স্বল্প দূরত্বের বাহন বললে ভুল হবে, এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষারও বাহন। সাইকেল চালালে একধরনের অ্যারোবিক ব্যায়াম হয়, যা স্বাস্থ্যরক্ষায় উপকারী ভূমিকা রাখে।
অন্য অনেক ব্যায়ামের চেয়ে সাইকেল চালানো তুলনামূলক সহজ। সাইক্লিং স্বাস্থ্যের গঠন ঠিক রাখে, শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে, বাড়ে জীবনে ধৈর্যশক্তি।
কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনে অনেকেই চেষ্টা করেন প্রতিদিন ব্যায়াম না করে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে। এই জন্য ডায়েটে নজর রাখেন সবাই। কিন্তু প্রতিদিন সাইকেল চালালে ঝরতে পারে অতিরিক্ত মেদ। শুধু প্রয়োজন সঠিক পদ্ধতির। জেনে নিন পাঁচটি সহজ কৌশল, যেভাবে সাইকেল চালালে মিলতে পারে অভাবনীয় সুফল।
* যেকোনো ধরনের শরীরচর্চা শুরুর আগে হালকা কিছু ব্যায়াম করে নেওয়া ভালো। সাইকেল চালানোও তার ব্যতিক্রম নয়। সুফল পেতে সাইকেল চালানো শুরুর পনেরো মিনিট আগে একটু হাঁটাহাঁটি করে নেবনে। এতে পেশির জড়তা দূর হবে, ঝরঝরে লাগবে শরীর। পাশাপাশি সাইকেল চালানোর সময় পরতে হবে খোলামেলা পোশাক। এর ফলে ঘাম নিঃসরণ সহজ হবে।
* সাইকেল চালানোর শুরুতে বেশি জোরে এবং অনেক সময় ধরে সাইকেল চালাবেন না। যেসব রাস্তায় গাড়ি কম কিংবা সমতল ভূমি বেছে নেবেন সাইকেল চালানোর জন্য। ধীরে ধীরে সময় ও গতি বাড়াবেন। এতে শরীরে ও পেশিতে ব্যথা হবে না। শরীরের উপর আকস্মিক ধকলও পড়বে না। আর সাইকেল কেনার সময় অবশ্যই নিজের উচ্চতা বুঝে কিনবেন।
* যাদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে তাদের প্রথমেই সময় না মেপে কতটা দূরত্ব যাওয়া যেতে পারে তার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। সাইক্লিং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার খুব ভালো মাধ্যম। এটি হজমশক্তি এবং খাবারের রুচি বাড়ায়, পেশি গঠন করে এবং শরীরের চর্বি পোড়ায়।
* একটানা দ্রুত গতিতে সাইকেল না চালিয়ে কিছুটা দ্রুত গতিতে চালিয়ে আবার কিছুটা বিশ্রাম দিতে হবে শরীরকে। তাহলে বাড়বে কার্যকারিতা। গায়ের ঘাম যদি না ঝরে তাহলে ওজন কমাতে অনেক দেরি হতে পারে। সাধারণত প্রতি ঘণ্টা সাইকেল চালনায় গড়ে ৩০০ ক্যালোরি শক্তি পোড়ে। ৩০ মিনিট করে প্রতিদিন সাইক্লিংয়ের ফলে বছরে প্রায় পাঁচ কিলোগ্রাম চর্বি কমতে পারে একজন ব্যক্তির।
* সাইকেল চালানোর পর, তিরিশ মিনিট থেকে এক ঘন্টার মধ্যে পরিশ্রম অনুসারে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। পাশাপাশি সাইকেল চালানোর সময় শরীরে পানি ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে সাইকেল চালালে কমে বিষণ্নতা এবং বাড়ে আত্মবিশ্বাস। এমনকি অন্ত্র ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখে সাইকেল চালানো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।