জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময়ে ঘনীভূত হয় ঘূর্ণিঝড়৷ তাদের ধ্বংসলীলার তারতম্য থাকে৷ তবে তাদের সকলেরই কিছু না কিছু নাম থাকে৷ একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে ঝড়ের নামকরণ করা হয়৷
শুধু নিয়ম রক্ষার্থে নামকরণ নয়৷ ঝড়ের তাণ্ডবের সঙ্গে নামকরণের অর্থের সাদৃশ্য ও সামঞ্জস্য থাকে৷ ঘূর্ণিঝড় অশনির নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা৷ সিংহলি ভাষায় অশনি শব্দের অর্থ গভীর ক্রোধ৷ সংস্কৃতে ‘অশনি’-র শব্দ আকাশের বিদ্যুৎলেখা৷
কারা নামকরণ করে ঘূর্ণিঝড়ের? প্রতি বারই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের সময় সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে৷ কেনই বা ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়? এ বিষয়ে কারণ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা WMO৷
ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন-এর ব্যাখ্যা, একই ভোগলিক অঞ্চলে একই সময়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হতে পারে৷ বিশ্বের অন্য প্রান্তে, অন্য ভৌগোলিক অঞ্চলেও সে সময় ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হতে পারে৷
দ্বন্দ্ব এড়াতে প্রতিটা ক্রান্তীয় ঝড়কে আলাদা আলাদা ভাবে নামকরণ করা হয়৷ আবহবিদ ও প্রশাসনের তরফে যাতে তাদের কাজ ঠিকমতো করা যায়, তাই এই নামকরণের রীতি৷
ঝড় সংক্রান্ত পূর্বাভাস ছড়িয়ে দিতে হয় একাধিক আবহাওয়া অফিস, উপকূলীয় অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রে থাকা জাহাজদের কাছে৷ তাই নামকরণ করা হয় ছোট শব্দে৷ দেখা হয় যাতে উচ্চারণেও সুবিধে হয়৷ আবার নামের অর্থের সঙ্গে ঝড়ের তাণ্ডবলীলারও সাদৃশ্য থাকতে হবে৷
‘ইয়াস’, ‘আয়লা’, ‘আমফান’, ‘ফণী’, ‘গুলাব’, ‘নিসর্গ’-সহ একাধিক ঘূর্ণিঝড় তার তাণ্ডবলীলার জন্য গত কয়েক বছরে উঠে এসেছে শিরোনামে৷ নামের জন্য আলাদা পরিচয়ে তারা মানুষের স্মৃতিতে জায়গা দখল করে আছে৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।