লাইফস্টাইল ডেস্ক : অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে মূলত তিনটি রোগ দেখা দিতে পারে। ফ্যাটি লিভার, অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস ও লিভার সিরোসিস। লিভার রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। কাজেই অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
লিভারের কার্যক্ষমতার বেশি মদ্যপান করলে লিভারের কোষগুলির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে মূলত তিনটি রোগ দেখা দিতে পারে।
ফ্যাটি লিভার, অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস ও লিভার সিরোসিস। প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে মদ্যপান বন্ধ করলেই সাধারণত পুনরায় সজীব হয়ে উঠতে পারে লিভারের কোষগুলি। অপর দিকে লিভার সিরোসিস একটি মারণ রোগ। এই রোগ ক্যানসার ডেকে আনে।
কিন্তু কতটুকু মদ্যপান করলে তৃষা নিবারণ হবে আবার ক্ষতিও তেমন হবে না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন বয়স, ওজন ও লিঙ্গর মতো একাধিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে মদ পান করার নিরাপদ সীমা।
বিশেষ করে নারীদেহে অ্যালকোহল শোষণের পরিমাণ পুরুষদের তুলনায় বেশি হয়। ফলে সমপরিমাণ অ্যালকোহল পানে নারীদের লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন? মুক্তির সহজ উপায় জেনে নিন
তবে মোটামুটি ভাবে নারীদের দৈনিক ১ একক ও পুরুষদের দৈনিক ২ এককের বেশি মদ্যপান করা লিভারের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একক বলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পানীয়ের কথা বলা হচ্ছে। এই একক এক এক ধরনের পানীয়ের জন্য এক এক রকম। বিয়ারের ক্ষেত্রে এক এককের অর্থ ৩৪১ মিলিলিটার।
এক একক ওয়াইন মানে ১৪২ মিলিলিটার। আবার এক একক হুইস্কি বলতে বোঝানো হয় ৩০ মিলিলিটার হুইস্কি। অর্থাৎ, আপনি যে পানীয়টি বেছে নিচ্ছেন, সে হিসাবে দৈনিক এক বা দুই একক মাপতে হবে।
তবে মাথায় রাখতে হবে এই পরিমাপ সম্পূর্ণ সুস্থ এক জন মানুষের জন্য নির্ণীত। লিভারের যে কোনও রকম সমস্যা থাকলে অবিলম্বে মদ্যপান সম্পূর্ণ ত্যাগ করাই বিচক্ষণতার পরিচয়। পাশাপাশি ডায়াবিটিস, সংবহনতন্ত্রের সমস্যা ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের পক্ষেও মদ্যপান বিপদের কারণ হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।