সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ভুল চিকিৎসায় আমিনুর রহমান টিপু (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (২৯ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার চারিগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ী ওই এলাকার মধ্য চারিগ্রাম গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে তালের শাঁস বিক্রি করতেন। এঘটনায় হাসপাতালের দরজা-জানালা,আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাংচুর করে স্বজনরা।
থানা পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ব্যবসয়ী আমিনুর রহমান টিপুর বুকে ব্যথা দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় চারিগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার শরীরে গ্যাসের ইনজেকশন দেন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা: আবুল কালাম আজাদ। এসময় তিনি সোমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস নামে এক চিকিৎসকের প্যাড ব্যবহার করেন। ইনজেকশন দেওয়ার পরপরই টিপুর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরে সেখান থেকে টিপুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে নেওয়ার পর রাত ১০ টার দিকে আমিনুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে আমিনুর রহমান টিপুর মৃত্যর খবর পেয়ে চারিগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান ডা: আবুল কালাম আজাদ ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
এঘটনা ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চারিগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে জড়ো হন নিহতের স্বজন ও স্থানীয় লোকজন। এসময় হাসপাতালের দরজা-জানালা,আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাংচুর করে তারা। খবর পেয়ে রাত ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সিংগাইর থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ডা: আবুল কালাম আজাদের ব্যবহƒত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর থানার পুলিশ পরিদর্র্শক (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠোনো হয়েছে। এঘটনায় নিহত আমিনুর রহমান টিপুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।