স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে দুঃস্বপ্নের মতো একটি ম্যাচ শুরু করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কারণ তাদের প্রতিপক্ষ যে আইপিএলের চলতি আসরে ‘রানরাইজার্স’ তকমা পাওয়া দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পাওয়ারপ্লের বিশ্বরেকর্ড গড়ে এদিন তারা ৬ ওভারে ১২৫ রান তোলে। তবে শেষটা ঠিক শুরুর মতো না পেলেও তারা স্বাগতিক দিল্লিকে ২৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। সেই রানতাড়ায় ঝড় তোলেন দিল্লির ওপেনার জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক। তবে সেটি যথেষ্ট ছিল না, ফলে ঋষভ পান্তরা ৬৭ রানে হেরেছেন।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) হায়দরবাদকে আতিথ্য দিতে নেমে রানপাহাড়ে চাপা পড়ে দিল্লি। ২২ ছক্কা ও ১৮ চারে তারা নির্ধারিত ওভারে ২৬৬ রান করে। প্রায় প্রতি ম্যাচে ঝড় তোলা হায়দরাবাদ ওপেনার ট্রাভিস হেড ৮৯, অভিষেক শর্মা ৪৬ ও শাহবাজ আহমেদ ৫৯ রান করেন। রানতাড়ায় শুরুতে হোঁচট খেলেও পরে সামলে নেন দিল্লির মিডল অর্ডাররা। তবে শেষ পর্যন্ত আর বড় লক্ষ্য ছোঁয়া হয়নি।
ব্যাটিংয়ের শুরুতেই দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে দ্রুত হারিয়ে ফেলে দিল্লি। ঝড়ের আভাস দিয়েও ৫ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান পৃথ্বী। যার সব রানই এসেছে চারের বাউন্ডারিতে। আরেক প্রান্তে থাকা ওয়ার্নার ফিরেছেন মাত্র ৩ বলে, করেন মাত্র ১ রান। এরপর তিন নম্বরে নামা অস্ট্রেলিয়ান তরুণ ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিয়েই ঝড় তোলেন। মাত্র ১৫ বলে তিনি আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন।
যদিও সেই ইনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি ম্যাকগার্ক। ১৮ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছক্কায় থামেন ৬৫ রান করে। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ঝড় তুলছিলেন স্থানীয় তরুণ অভিষেক পোড়েলও। কিন্তু তিনিও ৪২ রান করে ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে যায় দিল্লি। মাত্র ২২ বলের ইনিংসে এই ২১ বছর বয়সী ব্যাটার ৭টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। দিল্লির বিপদ আরও বাড়ে অল্প সময়ে আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে। ত্রিস্তান স্টাবস ১০ এবং ললিত যাদব ফেরেন ৭ রান করে। ফলে ক্রিজে একা হয়ে যান অধিনায়ক পান্ত। তাকে কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে না পারার পাশাপাশি নিজেও রান তুলেছেন তুলনামূলক ধীরগতিতে।
মূলতে সেভাবে ব্যাট-বলে মেলাতে পারছিলেন না এই তারকা ব্যাটার। ৩৫ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় তিনি ৪৪ রান করে ফিরলে দিল্লির বড় হার নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফলে ৬৭ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেল প্যাট কামিন্সের হায়দরাবাদ। সাত ম্যাচে তাদের ৫টিতে। ম্যাচটিতে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন পি নাতারাজন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মায়াঙ্ক মারকান্দে ও নিতীশ কুমার রেড্ডি।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ মাত্র পাঁচ ওভারেই দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করেছিল। ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওপেনার ট্র্যাভিস হেড। ওপেনিং জুটিতে অভিষেক শর্মার সঙ্গে মিলে তোলেন ১৩১ রান। প্রথমে ১২ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪৬ রান করে আউট হন অভিষেক শর্মা। এরপর একই বোলার কুলদীপ যাদব ফেরান এইডেন মার্করাম এবং ট্র্যাভিস হেডকেও। ৩২ বলে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৮৯ রান করেন হেড। শেষদিকে নিতীশ ২৭ বলে ৩৭, আব্দুল সামাদ ৮ বলে ১৩ রান এবং শাহবাজ আহমেদ ২৯ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে সফরকারীদের বড় লক্ষ্য এনে দেন।
তীব্র গরমে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ
কুলদীপ চার উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদের ইনিংসে কিঞ্চিৎ লাগাম টেনেছেন। তবে এর জন্য খরচ করেন ৫৫ রান। দিল্লির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল ছিলেন অক্ষর প্যাটেল। ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৯ রান। বাকি সকলেই রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ১৩ এর বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।