Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ভূমিকম্পে ঢাকার কোন এলাকা নিরাপদ
জাতীয় ডেস্ক
জাতীয় স্লাইডার

ভূমিকম্পে ঢাকার কোন এলাকা নিরাপদ

জাতীয় ডেস্কShamim RezaNovember 28, 20256 Mins Read
Advertisement

বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে এবং দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা আছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিজেই। এখন প্রশ্ন উঠছে, ঢাকায় কি কোনো নিরাপদ এলাকা নেই?

ভূমিকম্প

বিষয়টি রাজধানীবাসীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এবং বিধিমালা অমান্য করে তৈরি বিপুল সংখ্যক বহুতল ভবনের ভিড়ে নিরাপদ জায়গা কোথাও আছে কি না, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে। খবর বিবিসি’র।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার ভূতাত্ত্বিক গঠন ও ফল্ট লাইনের অবস্থান দুর্যোগ মোকাবিলায় অনুকূলে থাকলেও ভবন নির্মাণে অনিয়ম, ভরাট জমির প্রসার এবং অত্যধিক জনসংখ্যা শহরটিকে এক জটিল সমীকরণের মুখে দাঁড় করিয়েছে।

ভূমিকম্পে ঢাকার কোন এলাকা নিরাপদ?

কোন এলাকা কতটুকু নিরাপদ তা বুঝতে হলে দুইটি দিকে নজর দিতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক. শহরের ভূতাত্ত্বিক গঠন। দুই. শহরের অবকাঠামো।

ভূতত্ত্ববিদ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার ভূতাত্ত্বিক বিষয়টিকে বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকার ভূতাত্ত্বিক গঠন প্রায় একই। বেশিরভাগ অংশ, বিশেষ করে উত্তর দিকের মাটি মধুপুরের লাল মাটি। যেটি বেশ শক্ত।’

কিন্তু মোঘল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ পিরিয়ড, পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে উত্তর দিকে এবং বুড়িগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে শহর খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হয়। তখন এই লাল মাটি ‘অকুপাইড’ হয়ে যায়। এরপর শহর বাড়তে শুরু করে পূর্ব-পশ্চিমে। সেখানে নরম পলিমাটি এবং জলাশয় ছিল যা ভরাট করা হয়েছে।

হুমায়ুন আখতার জানান, শুধু যদি ভূতাত্ত্বিক গঠন বিবেচনা করা হয়, তাহলে মধুপুরের লাল মাটির একই গড়নের যেসব এলাকা রয়েছে যেমন রমনা, মগবাজার, নিউমার্কেট, লালমাটিয়া, খিলগাঁও, মতিঝিল, ধানমন্ডি, লালবাগ, মিরপুর, গুলশান, তেজগাঁও ইত্যাদি এলাকা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। কিন্তু শুধু ভূতাত্ত্বিক গঠনের ওপর ঢাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নির্ভর করছে না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলছেন, ঢাকার কোন এলাকা নিরাপদ, কোনটি নয়- এটা বলা মুশকিল। যতক্ষণ না ভবনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, ততক্ষণ বলা যাবে না কোনটা ঝুঁকিপূর্ণ বা ঝুঁকিমুক্ত।

লাল মাটির এলাকায় ভবন, তাও কেন ঝুঁকিপূর্ণ?

শক্ত মাটির এলাকাও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। এর প্রথম কারণ, সেইসব এলাকায় বহু পুরোনো ভবন রয়েছে যেগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। পর্যবেক্ষণের অভাবে সেগুলোও এখন অনিরাপদ।

আরও একটি কারণ উল্লেখ করে হুমায়ুন বলেন, সেসব এলাকায় এমন ভবন আছে যেগুলোর অনুমোদন ছিল হয়তো দুই বা তিন তলার জন্য, কিন্তু পরে সেগুলো বহুতলে রূপান্তরিত হয়েছে। ফাউন্ডেশন দুই তলার, কিন্তু দাঁড়িয়ে আছে সাত তলা। এগুলো অননুমোদিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ।

এছাড়া নতুন যেসব ভবন তৈরি হচ্ছে তাতে করা হচ্ছে অনিয়ম, ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্ন মানের কাঁচামাল। তাতে ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনীয় হিসেবে তৈরিই হচ্ছে না।

ঢাকার ৯০ শতাংশ ভবন বিল্ডিং কোডের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে বলে রাজউকের পরিসংখ্যানের কথা সম্প্রতি উল্লেখ করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তবে গত ২১  নভেম্বর পাঁচ দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পের পর রাজউক জানিয়েছে, বাংলাদেশে গত কিছুদিনে কয়েক দফায় ভূমিকম্প হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে জরিপ চালিয়ে ঢাকায় ৩০০টি ভবনকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা।

ভরাট করা জায়গায় ভবন মানে কি অনিরাপদ?

ঢাকার বিভিন্ন দিকে ডোবা ও জলাশয় ভরাট করে কিছু এলাকা গড়ে উঠেছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, আফতাবনগর এরকম প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। মধুপুরের লাল মাটির মতো প্রাকৃতিকভাবে শক্ত মাটি নেই এখানে।

তাই এ ধরনের এলকায় ভবন তৈরির আগে সেখানকার মাটি বহুতল ভবন ধরে রাখার মতো সক্ষমতায় প্রস্তুত করে নিতে হবে, বলছেন মেহেদী আহমেদ। মেক্সিকোর সান হুয়ানিকো শহরের একটি উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এই শহরটি চারদিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা। মাঝে গামলার মতো শহরটি ৪০-৫০ মিটার মাটি দিয়ে ভরাট করা এবং সেখানেই গড়ে উঠেছিল নগর।

১৯৮৫ সালে সেখানে আট দশমিক এক মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয় এবং ৭০ শতাংশ ভবন ধসে পড়ে মারা যায় ১৫ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। গবেষণায় উঠে আসে, সেখানকার মাটি ভরাট করার সময় মানা হয়নি ‘গ্রাউন্ড ইম্প্রুভমেন্ট টেকনিক’।

মেহেদী আহমেদ বলেন, এরকম জায়গায় যদি মাটিকে দুর্মুজ না করা হয় বা প্রস্তুত না করা হয়, যেটাকে গ্রাউন্ড ইম্প্রুভমেন্ট টেকনিক বলে, এটি যদি না করা হয় ভবন বেশি দুলে উঠবে এবং ভেঙে পড়বে।

তার ভাষ্যমতে, মানুষ এখন পাইল করেই বিল্ডিং তৈরি করে ফেলছে। কিন্তু তিনি বলেন, পাইলও দিতে হবে, মাটিকেও প্রস্তুত করতে হবে। এমনটা যদি না করা হয়, তখন দূরে উৎপন্ন ভূমিকম্প হলেও মাটির কম্পন আর ভবনের কম্পন মিলে ভবন ধরে পড়ার শঙ্কা থাকে। আর কাছে উৎপন্ন ভূমিকম্প হলে তো কথাই নেই।

পুরান ঢাকা কি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ?

মেহেদী আহমেদের মতে, আপাতদৃষ্টিতে পুরান ঢাকাকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও, নতুন ঢাকা ও পুরান ঢাকার মধ্যে পার্থক্য একটাই। তা হলো পুরান ঢাকার সরু রাস্তা।

রাস্তাগুলো সরু হওয়ায় দুর্যোগের সময় মানুষকে দ্রুত সরানো কঠিন হতে পারে। তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন যে পুরনো কিছু ভবন শত বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে। কোনো ভূমিকম্পেও ভেঙে পড়েনি। তাই কাঠামোর মানই বেশি গুরুত্ব পায়।

ঢাকার বিপদ ‘ব্লাইন্ড ফল্ট’

ঢাকার ভেতরে কোনো ফল্ট লাইন নেই। তবে বাংলাদেশের ফল্ট লাইন বা চ্যুতি রেখার জন্য পাঁচটি জায়গা পরিচিত।

বার্মা বা মিয়ানমার থেকে নোয়াখালী, যাকে বলে প্লেট বাউন্ডারি-১। সেখানে ১৭৬২ সালে আট দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।
আরেকটা আছে প্লেট বাউন্ডারি-২ যেটা নরসিংদির ওপর দিয়ে চলে গেছে, অতীতে এখানে সাত মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।

এরপরে প্লেট বাউন্ডারি-৩, যেটা সিলেট থেকে ইন্ডিয়ার দিকে চলে গেছে, এখানে ১৯১৮ এবং ১৯৬৯ সালে সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। আর আছে ডাউকি ফল্ট যেখানে ১৮৯৭ সালে আট দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। সবশেষ আছে মধুপুর ফল্ট যেখানে ১৮৮৫ সালে সাত দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।

গবেষকদের মতে, এগুলোর কিছু জায়গায় ৩৫০ বছর, আবার কিছু জায়গায় ৯০০ বছরের মতো সময় পরে বড় ভূমিকম্প হতে পারে।তবে এর বাইরেও কিছু ফল্ট লাইন আছে, যেগুলোকে বলে ‘ব্লাইন্ড ফল্ট’। ব্লাউন্ড ফল্ট হলো এমন ধরনের ফল্ট যা ভূ-পৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই ভূ-পৃষ্ঠে কোনো চিহ্ন না থাকায় সাধারণ ভূতাত্ত্বিক মানচিত্রে এটি দেখা যায় না বা শনাক্ত করা কঠিন হয়। এই ধরনের ফল্ট বিপজ্জনক।

বাংলাদেশে দুটো চিহ্নিত ব্লাইন্ড ফল্ট আছে। একটি ময়মনসিংহে, অন্যটি রংপুরে। যেহেতু এই ফল্ট লাইনগুলো শনাক্ত করা কঠিন তাই কোনো সতর্কবার্তাও পাওয়া যায় না। ঢাকার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এই ব্লাইন্ড ফল্টগুলো।

ঢাকাকে কি নতুন করে গোছানো সম্ভব?

ঢাকা শহরকে একটা ‘সুশীল’ বা সুশৃঙ্খলা জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না এই বিষয়ে দ্বিমত আছে বিশেষজ্ঞদের ভেতরেও। স্থপতি ইকবাল হাবিবের মতে, রেট্রোফিকেশন, পরিমার্জন, পরিশীলিতকরন, ব্যবহার পরিবর্তন – এই চারটি কাজের মধ্য দিয়ে ঢাকাকে নতুনভাবে সাজানো সম্ভব। শতভাগ না হলেও কিছু অংশে সম্ভব।

যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়, যেমন নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়ার সময় সব নিয়ম মেনেছে কি না যাচাই করা; ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি ভবন যাচাই করে নিরাপদ ভবনগুলোকে গ্রিন জোন, কিছু সংস্কার কাজ করে যেগুলোকে নিরাপদ বানানো সম্ভব সেগুলোকে ইয়েলো জোন এবং অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে রেড জোন হিসেবে মার্ক করে সিলগালা করার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করার কথা বলেন তিনি।

তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন পাস করাতে চাচ্ছে সরকার, ফখরুলের প্রতিবাদ

তার মতে, নির্দয় না হলে এই শহরকে বাঁচানো সম্ভব নয়।

পাশাপাশি হুমায়ুন আবার বলেন, ঢাকা শহরে যেভাবে একটা ভবনের সাথে আরেকটা ভবন লাগোয়া, একটি ভবন হেলে পড়লে অপরটির অটোমেটিক ক্ষতি হবে। এমন অবস্থায় কীভাবে রেট্রোফিট করা সম্ভব? এগুলো অনুমোদন দেওয়ার সময় যাচাই করার বিষয়। এখন একটি ভবন নিরাপদ হলেও, তার পাশের ভবনের কারণেই হয়তো সেটি ঝুঁকির মধ্যে আছে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় এলাকা কোন ঢাকার নিরাপদ ভূমিকম্প ভূমিকম্পে স্লাইডার
Related Posts
সেমিফাইনালে

সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ পাকিস্তান

December 19, 2025
বিমান বিধ্বস্ত

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭

December 19, 2025
মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে পাঁচ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

December 19, 2025
Latest News
সেমিফাইনালে

সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ পাকিস্তান

বিমান বিধ্বস্ত

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭

মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে পাঁচ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

হত্যার হুমকি

এবার হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি

মৃত্যু হয়

‘যেন আমার মৃত্যুর পরও এই লড়াই বন্ধ না হয়’

হাদির মরদেহ

সন্ধ্যায় আসবে হাদির মরদেহ

হাদির মৃত্যু

ওসমান হাদির মৃত্যু দেশ ও সমাজের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: ঢাবি উপাচার্য

ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে হামলা

ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে ভাঙচুর-আগুন

আসিফ মাহমুদ

নির্বাচন করার সাহস পেলেন কীভাবে, জানালেন আসিফ মাহমুদ

ওসমান হাদির মৃত্যু

ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.