জুমবাংলা ডেস্ক : কাজী নজরুল ইসলামের দ্রোহের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ধানমণ্ডি লেকে “বিদ্রোহী চত্বর” বা “রেবেল স্কয়ার” তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। ইতোমধ্যে ৬০ কাঠা জায়গার ওপর এই চত্বরের একটি নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। দ্রুতই এর নির্মাণকাজ শুরু কথা ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্রোহী চত্বর নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়ে গেলেও কিছু প্রশাসনিক জটিলতায় আটকে আছে কাজ। জটিলতা শেষ হলেই শুরু হবে চত্বর নির্মাণ।
এ বিষয়ে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমরা তিন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে মিটিং করেছি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি আমরা বিদ্রোহী চত্বর নির্মাণ করতে যাচ্ছি।”
কবে নাগাদ নির্মাণকাজ শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কিছু প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে। এখানে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। সিটি কর্পোরেশন বলছে ওটা তাদের জমি, আবার গণপূর্ত বলছে তাদের। জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিটি গেলেই কাজ শুরু হবে। চত্বর নির্মাণের জন্য অলরেডি টেন্ডার হয়ে গেছে।”
ধানমণ্ডি লেকের কোন জায়গায় বিদ্রোহী চত্বর হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। রাহাত শিকদার নামে ধানমণ্ডির একজন বাসিন্দা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “এর আগে সিটি কর্পোরেশন রবীন্দ্র সরোবরের আদলে নজরুল সরোবর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এবার এই বিদ্রোহী চত্বর ঠিক কোন জায়গায় হবে তা আমাদের কাছে সুস্পষ্ট নয়।”
এই চত্বরের সঙ্গে রবীন্দ্র সরোবরের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে শিবলী বলেন, “না, রবীন্দ্র সরোবরের জায়গায় রবীন্দ্র সরোবর থাকবে। ওটার সঙ্গে এটার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিদ্রোহী চত্বর হবে লেকের পশ্চিম দিকে আবাহনী মাঠের ওপাশে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থী মাহবুব বলেন, “নজরুল এদেশে সব সময় অবহেলিত। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এতদিন ছিল নামমাত্র। তাদের তেমন লক্ষণীয় কাজ চোখে পড়েনি। নজরুল নিয়ে এমন কিছু আরও অনেক আগে করা উচিত ছিল। আমি চাই শিগগিরই বিদ্রোহী চত্বর নির্মাণ হোক।”
ঘড়ির মতো হাতে বেঁধে রাখতে পারবেন মটোরোলার এই রোলেবল স্মার্টফোন
জানা যায়, বিদ্রোহী চত্বরের নকশা করেছেন অধ্যাপক রফিক আজম। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে সিটি কর্পোরেশন, তত্ত্বাবধান করবে নজরুল ইনস্টিটিউট। ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার ১৩/এ এবং ৮/এ রোড সংলগ্ন লেকের পাড়ে এই চত্বর নির্মাণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।