ছোট থেকে বড়, তরুণ থেকে বৃদ্ধ— যে কোনও বয়সেই ডায়াবিটিসের প্রবণতা বাড়ছে। এ এমন এক অসুখ, যা ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী না হয়েও, নিঃশব্দে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। সময় থাকতে সতর্ক না হলে, ডায়াবিটিস ধীরে ধীরে শরীরের কলকব্জা নড়বড়ে করে দিতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
খাদ্যভ্যাস বদলের সঙ্গে সঙ্গে মাত্র ১৫ মিনিট যদি বরাদ্দ করা যায়, তা হলেই কিন্তু শর্করা বশে রাখা সহজ হতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলনে, ডায়াবিটিস মোটেই হেলাফেলার বিষয় নয়। বরং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই রোগকে বশে রাখতে সাহায্য করে। কলকাতার ডায়াবিটিসের চিকিৎসক অভিজ্ঞান মাঝির পরামর্শ, ডায়াবেটিকেরা যদি খাওয়ার পরে মিনিট ৫-১০ একটু হাঁটাহাঁটি করেন, রক্তে শর্করার মাত্রা ঝট করে বাড়তে পারে না।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ক্যালোরি খরচ করা দরকার। অর্থাৎ, খাবারের মাধ্যমে যে ক্যালোরি শরীরে ঢুকছে, সেটি ঝরিয়ে ফেলার জন্য হাঁটতে বলা হয়। এতে ‘ইনসুলিন রেজ়িস্ট্যান্স’ কমে।
ইনসুলিন রেজ়িস্ট্যান্স থাকলে শরীরের কোষগুলি ইনসুলিন হরমোনে ঠিকমতো প্রতিক্রয়া করে না। কিছু ক্ষণ জোরে হাঁটলে, ঘাম ঝরলে ক্যালোরিও ঝরে, ইনসুলিন রেজ়িস্ট্যান্স কমে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে থাকে।
শরবতে ব্যবহৃত বীজের এত গুণ! কোলেস্টেরল থেকে রক্তে শর্করা বশে থাকবে, কী ভাবে খাবেন?
ঠাণের ডায়াবিটিসের চিকিৎসক বিজয় নেগালুর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘মাত্র ১৫ মিনিটই জীবনে বদল আনতে পার। জোরে হাঁটার দরকার নেই। বরং সাধারণ ভাবে একটু হাঁটতে হবে। সকালে উঠে যদি হাঁটাহাটির অভ্যাস থাকে, খাওয়ার পরে মিনিট ১০-১৫ পায়চারি করলেও কাজ হবে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বাড়বে না।’’
কোন শর্ত মানা জরুরি?
· খেয়ে ৫-৭ মিনিট বসার পরে হাঁটাচলা জরুরি।
· হাঁটতে হাঁটতে কোনও রকম শরীরচর্চা করা ঠিক নয়।
· জোরে হাঁটলে শরীরে কষ্ট হতে পারে। হজমে সমস্যা হতে পারে।
· চড়া রোদে হাঁটাহাঁটি না করাই ভাল, বিশেষত গরমের দিনে।
· ডায়াবেটিকদের জন্য শরীরচর্চাও উপকারী। তবে খাওয়ার পরেই তা করা যায় না।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শর্করা এড়িয়ে চলা, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এই অসুখকে বশে রাখে। শরীরচর্চা এবং হাঁটাহাটিও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের জরুরি শর্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।