আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভালোবেসে দামি হীরার হার উপহার দিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু সেই হার কবজা করেছেন তরুণীর ননদ। হারটি কোনোভাবেই পরার সুযোগই পাচ্ছেন না তরুণী। কোনো অনুষ্ঠান হলেই সেই হারের ওপর অধিকার খাটান ননদ। দিনের পরদিন ননদের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন তরুণী।
মহাবিপদে পড়েছেন তরুণী। মুখের ওপর ননদকে নিষেধও করতে পারছেন না তিনি। উপায় না দেখে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে পাঠকদের কাছে সাহায্য চাইলেন ভুক্তভোগী তরুণী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিজ্ঞাপনের ছবিটিও।
‘ঘর কে কলেশ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। একটি পত্রিকার বিজ্ঞাপনের ছবি সেটি। নামপরিচয় গোপন রেখে এক তরুণী কোনো একটি পত্রিকায় সেই বিজ্ঞাপনটি দিয়েছেন।
তরুণীর দাবি, তার স্বামী ভালোবেসে তাকে ১৮ ক্যারেটের একটি হীরার হার উপহার দিয়েছেন। কিন্তু সেই হারটি পরার সুযোগই পাচ্ছেন না তরুণী।
তিনি লেখেন, ‘আমি যত বার সেই হীরার হারটি পরেছি, তার চেয়ে বেশি পরেছে আমার ননদ (আমার সন্তানের পিসি)। ওর মনে হয় হারটির ওপর বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। কোনো অনুষ্ঠান হলেই এই হারটি পরে ফেলে সে।
এমনকি, তার হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইল পিকচারে যে ছবিটি রয়েছে, সেখানেও হীরের হারটি পরে রয়েছে সে। আমি তো তাকে নিষেধও করতে পারি না। এমন কোনো উপায় রয়েছে, যেখানে হারটি ননদ থেকে দূরে রাখা যাবে?’
তরুণী জানান, তিনি ব্যাংকের লকারে হারটি রাখার কল্পনাও করেছিলেন। কিন্তু ব্যাংকে আপাতত কোনো লকার খালি নেই। ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে লকার পেতে গেলে আরো পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।
পাঠকদের কাছে সাহায্য চেয়ে এই বিজ্ঞাপনটি দিয়েছেন তরুণী। যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বরের পরিবর্তে একটি মেইল আইডি দিয়েছেন তিনি। মেইল আইডির নামটিও বেশ মজাদার—‘অ্যান্টিবুয়ালকার@জিমেইল.কম। বিজ্ঞাপনের শিরোনাম, ‘পিসির কাছ থেকে আমার হার বাঁচান।’
সূত্র : আনন্দবাজার ডট কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।