স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ আয়োজনে নানা রঙে-ঢঙে সেজেছে কাতার। ফুটবলের রোমাঞ্চকর ও উত্তেজনাপূর্ণ বৈশ্বিক ইভেন্টে বিদেশি দর্শকদের ভিন্ন সংস্কৃতির স্বাদ দিতে চায় দেশটি। আবাসন সংকট এড়ানোর পাশাপাশি বেদুইনদের মতো তাদেরকে তাঁবুতে রাখার ব্যবস্থা রেখেছে কাতার।
২০১০ সালে ফিফার কাছ থেকে হোম ভেন্যুর বিড পাওয়ার সময় কাতার আশ্বস্ত করেছিল, ৫৫ হাজার রুম তৈরি করবে। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, বিশ্বকাপের পাঁচ মাস সময় বাকি থাকতে তাদের রুম প্রস্তুত হয়েছে ৪৬ হাজার। দর্শক-সমর্থক সহ সব মিলিয়ে অন্তত ৬০ হাজার রুম চেয়েছিল ফিফা।
সেই ঘাটতি কিছুটা কমিয়ে আনতে ঐতিহ্যবাহী, সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক উপায় বেছে নিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিদেশি সমর্থকরা চাইলে হোটেল রুমে থাকার পরিবর্তে বেদুইনদের জীবন যাত্রার স্বাদ নিতে পারবে। ২১ নভেম্বর বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর আগে আরও কিছু রুম প্রস্তুত তৈরি হবে বলে আশাবাদী কাতার।
কাতারের বিশ্বকাপ সুপ্রিম কমিটির একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আতিথেয়তা ও বন্ধুত্ব প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি। ফলস্বরূপ, আমরা সক্রিয়ভাবে তারার নিচে সমর্থকদের ঘুমানোর ধারণা নিয়ে গবেষণা করছি।’
বিশ্বকাপ উপভোগ করতে ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ দর্শক-সমর্থক কাতারে আসবেন। তাদের বেশিরভাগ হোটেলে বা অ্যাপার্টমেন্টে থাকবেন। চাইলে যে কেউ মরুভূমিতে ওইসব তাঁবুতেও থাকতে পারবেন। মরুভূমিতে বেদুইনদের বাস্তব অভিজ্ঞতা পেলেও অতিথিরা পাবেন পানি, বিদ্যুৎ ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। তবে গরমের ভোগান্তি এড়াতে তাঁবুতে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।