লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান সময়ে ইউরিক এসিডের সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গাঁটের সমস্যা, কিডনি রোগ, হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপজ্জনক রোগ হতে পারে। ইউরিক এসিড হলো শরীরের এক ধরনের পিউরিন, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কখনো কখনো কিডনি, শরীর থেকে ইউরিক এসিড বের করতে পারে না বা কখনো শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড জমে।
রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়লে তা ফিলটার করা কঠিন হয়ে পড়ে। ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তের প্রতি ডেসিলিটারে ৩.৫ থেকে ৭.২ মিলিগ্রাম ইউরিক এসিড থাকে।
যখন আমরা পিউরিনসমৃদ্ধ খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণ করি, তখন শরীর এটি হজম করতে ব্যর্থ হয়।
যার ফলে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
উচ্চ মাত্রার ইউরিক এসিডের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। পিউরিন-সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার পাশাপাশি, অবশ্যই অত্যধিক চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এটি আপনার শরীরের ইউরিক এসিড নিঃসরণ করার ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
এ ছাড়া অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পরিবর্তে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এটি আপনার প্রস্রাবকে পাতলা করতে পারে এবং শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক এসিড ত্যাগ করা সহজ করে তুলতে পারে।
ইউরিক এসিডে ড্রাই ফ্রুটসের ভূমিকা
অনেক সময় ইউরিক এসিড শরীরে ক্রিস্টালের রূপ নেয় এবং ধীরে ধীরে জয়েন্টের চারপাশে জমা হতে থাকে। যার কারণে জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
ইউরিক এসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। এ জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে ড্রাই ফ্রুট খুব ভালো বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ড্রাই ফ্রুটে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। জেনে নিন কোন কোন ড্রাই ফ্রুট ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে পারে।
কাজুবাদাম
এতে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কাজুকে ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পেস্তা
পেস্তায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন- পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড পাওয়া যায়। এতে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যায়। পেস্তায় পিউরিনের মাত্রাও খুব কম থাকে, যা ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে।
আখরোট
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে বাতের সমস্যায় পড়তে হয়। আখরোটে পিউরিনের পরিমাণ খুবই কম।
বাদাম
বাদামকে ভিটামিন ই ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং প্রদাহ কমায়। এতে পিউরিনের মাত্রা কম থাকে, যা ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
খেজুর
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার ও পটাসিয়াম থাকে, যা কিডনির জন্য উপকারী। এতে পিউরিন পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে এটি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করে।
সূত্র : আজতক বাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।