জুমবাংলা ডেস্ক : ভিসা না পাওয়ায় কানাডায় যেতে পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এক প্রোগ্রামে যোগ দিতে গত ১৫ই জুন ভিসার জন্য ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু এক মাস পার হলেও ভিসা পাননি ভিসি। তাই কানাডায় যাওয়ার উদ্যোগ বাতিল করতে হয়েছে তাকে।
তবে ভিসি মো. আখতারুজ্জামানের দাবি- বিলম্বে আবেদন করায় ভিসা প্রসেসিংয়ে সময় লাগছে। প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন না বলে তিনি কানাডা সফর বাতিল করেছেন। তিনি বলেন, কিছু দুষ্টু লোক এটাকে ভিন্নভাবে প্রচার করতে চাইছে। ভিসা পেতে অনেকের দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে।
এদিকে, ভিসি কানাডার ভিসা না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের মধ্যে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কারণ পদাধিকার বলে ঢাবি ভিসি কূটনৈতিক পাসপোর্টের অধিকারী।
জানা গেছে, ‘এসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ (এসিইউ)’র কাউন্সিল কনফারেন্সে যোগ দিতে কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল আখতারুজ্জামানের। এসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে তিনি আজ (১৯শে জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য ‘এসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ সিম্পোজিয়াম-২০২৩’-এ অংশ নিতে আমন্ত্রণ পান। কিন্তু এক মাস আগে আবেদন করেও ভিসা না পাওয়ায় সিম্পোজিয়ামে অংশ নিতে পারছেন না ভিসি।
গত সোমবার তার কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা ছিল।
এসিইউ’র ওয়েবসাইটে দেখা যায়, দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সিম্পোজিয়ামে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি, ডেপুটি, প্রো-ভিসি, উচ্চশিক্ষা বিষয়ক এক্সপার্টরা আমন্ত্রণ পান। সিম্পোজিয়ামটি কেবল সশরীরে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের নিয়েই অনুষ্ঠিত হবে। কেউ অনলাইনে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়াও সিম্পোজিয়ামে অংশ নিতে যাওয়া ডেলিগেটদের বিমান খরচসহ যাবতীয় একোমোডেশন খরচ নিজেদেরই বহন করতে হবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠানটি। কমনওয়েলথের ৫০টি দেশের পাঁচ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এসিইউ’র সদস্য।
উল্লেখ্য, ঢাবি ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান এমন এক সময় কানাডার ভিসা পাননি যখন বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিই কানাডা অনুসরণ করে বলে ধরে নেয়া হয়। তবে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভিসা নীতি ঘোষণা করে না। সূত্র : মানবজমিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।