লাইফস্টাইল ডেস্ক : রাজনীতি হোক কিংবা আন্তর্জাতিক ইস্যু—সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনার আড্ডা জমে উঠেছে যে পানীয়টির সঙ্গে, সেটি নিঃসন্দেহে চা। পাড়ার মোড়ের দোকান থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের কর্নার কিওস্ক কিংবা ঘরের বারান্দা—বাঙালির প্রতিক্ষণের সঙ্গী হয়ে উঠেছে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা। দিনের ক্লান্তি কাটাতে অনেকেই দিনে একাধিকবার চায়ের কাপে চুমুক দেন। আর সেই চায়ের তালিকায় বাঙালির পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দুধ চা।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে—প্রিয় এই দুধ চা কি শরীরের জন্য ভালো? না কি দিনের পর দিন ক্ষতি করে যাচ্ছে অজান্তেই?
চা হোক রঙের, দুধ দিলে বদলে যায় চরিত্র
পুষ্টিবিদরা বলছেন, চায়ে যখন দুধ যোগ করা হয়, তখন তা দেহে অ্যাসিডিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়, যা সাধারণত দেহকে বিষমুক্ত রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এর ওপর যদি চায়ে চিনি যোগ করা হয়, তাহলে ক্ষতির মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত দিনে একাধিকবার দুধ চা পান করেন, তারা ধীরে ধীরে পেট ফাঁপা, হজমে সমস্যা এবং ব্লোটিং-এর মতো জটিলতায় ভুগতে থাকেন। শুধু তাই নয়, এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে পেটের নানা রোগের জন্ম দিতে পারে।
অবসাদ কাটাতে নয়, বরং বাড়াতে পারে মানসিক চাপ
অনেকেই দিনের অবসাদ দূর করতে চা খেয়ে থাকেন। কিন্তু দুধ চা কি সত্যিই কাজ করে এই ক্ষেত্রে? পুষ্টিবিদরা বলছেন, বাস্তবতা হলো উল্টো। গবেষণায় উঠে এসেছে, দুধ চা অবসাদ দূর তো করেই না, বরং কখনো কখনো মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিদ্রা, রক্তচাপের ওঠানামা—এসব স্বাস্থ্যগত সমস্যার পেছনেও রয়েছে দুধ চায়ের ভূমিকা।
ওজন বাড়া ও ব্রণের জন্য দায়ী এই প্রিয় পানীয়!
বেশিরভাগ মানুষ জানেন না, ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে দুধ চা। বিশেষ করে যারা দিনে বারবার এই চা পান করেন, তাদের শরীরে চর্বি জমতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধি পায়। মুখে ফুসকুড়ি পড়া, ব্রণ হওয়া এবং দাগ পড়ে যাওয়ার কারণও হতে পারে দীর্ঘদিন দুধ চা পান করার অভ্যাস।
এত কিছুর পরও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে দুধ চা
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের মতো দেশে দুধ চায়ের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। স্বাদের জন্যই হোক কিংবা নেশাসদৃশ অভ্যাস—অনেকেই দুধ চা ছাড়া দিন শুরু করতেই পারেন না। স্বাস্থ্যের এত ক্ষতির কথা জানার পরও তারা এই অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।