জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুর সদর উপজেলার মহসিন আলীর দুমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় চমক দেখিয়েছেন।
শাহনাজ পারভিন মিম ও সানজিদা সরাফি মিশু দুবোন একসঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে ভর্তি হন তারা।
জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ভীমগঞ্জ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহসিন আলীর তিন কন্যার মধ্যে দুকন্যা এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পান। পছন্দের বিষয় ফলিত রসায়ন বিভাগেও ভর্তি হন তারা।
তবে ছোট মেয়ে মিশু প্রচণ্ড মেধাবী হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তালিকায় নাম আসলেও তার বড় বোন মিমের জন্য রাবিতে একই বিষয়ে ভর্তি হন।
মিশু বলেন, ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম কিন্তু বোনের জন্য রাবিতে ভর্তি হয়েছি। প্রত্যন্ত অঞ্চল গ্রামে থাকার কারণে শহরের কোনো কোচিং সেন্টারে কোচিং করার সুযোগ পাইনি। প্রাইভেট পড়তেও পারিনি। শুধুমাত্র ভার্সিটির প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিংয়ে কিছুদিন ক্লাস করেছি। বড় কর্মকর্তা হয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন মিশু।
বুধবার শেরপুর সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে২০২৪ সালে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে অংশ নিয়ে মিম ও মিশু তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
মিম ও মিশুর বাবা প্রাইমারি শিক্ষক মহসিন আলী বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করি। মেয়েদের পড়াশোনায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিতে পারিনি। এরপরও মেয়েরা যে সফলতা দেখিয়েছে তাতে আমি পিতা হিসেবে গর্বিত।
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রকে ব.লাৎ.কা.রের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব ছিল প্রায় ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। প্রতিদিন বাড়ি থেকেই কলেজের ক্লাস করত। মেয়েরা কোনো প্রাইভেট পড়েনি। এইচএসসি পাস করার পর শুধু ভার্সিটির ভর্তি কোচিং করেছে মাত্র। মেয়ে দুজন ছোট বেলা থেকেই খুবই মেধাবী ছিল। পাশাপাশি মানুষের দোয়া ও ভালোবাসার জন্য এ সফলতা সম্ভব হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।