স্পোর্টস ডেস্ক : অনুমিত ফলাফলই এলো আর্জেন্টিনা-ইন্দোনেশিয়ার ম্যাচে। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে ব্যবধানটা হয়তো আরেকটু বাড়াতে পারতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এলোমেলো আক্রমণের কারণে সেটা না হলেও সহজ জয়ের স্বস্তি নিয়ে এশিয়া সফর শেষ করলো আলবিসেলেস্তেরা।
ইন্দোনেশিয়ার গেলোরা বাং কর্ণ স্টেডিয়ামে সোমবার (১৯ জুন) ইন্দোনেশিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইনদের হয়ে দুটো গোল করেন লিয়ান্দ্রো পারেদেস এবং ক্রিস্টিয়ান রোমেরো।
দুদলের র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধান ১৪৮ এর। অনুমিত ছিল যে, ১৪৯ নম্বরে থাকা ইন্দোনেশিয়াকে উড়িয়েই দেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং এক নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে থাকা আর্জেন্টিনা। কিন্তু স্বস্তির জয় পেলেও সেটা করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তবে শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলেছে তারা।
এশিয়া সফরের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচের সঙ্গে এই ম্যাচের স্কোয়াডে আছে অনেক পরিবর্তন। এই ম্যাচের স্কোয়াডে নেই দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া এবং নিকোলাস অতামেন্ডি। ওয়ার্কলোডের কারণে তাদেরকে ছুটি দিয়েছেন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি।
মেসিবিহীন দল হলেও শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টাইনরা। পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল তার ছাপ। বল দখল থেকে শুরু করে গোলে শট সবকিছুতেই যোজন-যোজন এগিয়ে ছিল আলবিসেলেস্তেরা। সমস্যা ছিল শুধু একটা জায়গায়, ফিনিশিং। এলোমেলো আক্রমণের কারণে গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা।
পুরোপুরি রক্ষণাত্মক ইন্দোনেশিয়ার ডিফেন্স ভেদ করাও ছিল বেশ কঠিন। প্রথমার্ধের ১৭ তম মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার জালে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। নিকোলাস গঞ্জালেসের নেয়া জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক সুতাইয়ারদি। ২৯ তম মিনিটে ইন্দোনেশিয়ান গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন অভিষিক্ত ফ্যাকুন্ডো।
তুলনামূলক দুর্বল দল ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রথম গোল করতে আর্জেন্টিনার লেগেছে ৩৮ মিনিট। একের পর এক আক্রমণে যখন সাফল্য মিলছিল না, তখন ডেডলক ভেঙেছেন লিয়ান্দ্রো পারেদেস। ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার বজায় রেখেছে আর্জেন্টিনা। ৫৫তম মিনিটে লিড দ্বিগুণ করেন রোমেরো। লো সেলসোর কর্নারে বক্সে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন ডিফেন্ডার রোমেরো।
প্রথমার্ধে একেবারেই রক্ষণাত্মক খেলা ইন্দোনেশিয়া দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খোলস ছেড়ে বের হয়। ৫৩তম মিনিটে ভালো একটা সুযোগও পায়। তবে একান বাগোতের হেড লাফিয়ে এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান এমি মার্টিনেজ।
দ্বিতীয় গোলের পর গঞ্জালেসের বদলি নামা আলেহান্দ্রো গার্নাচো যোগ করা সময়ে ভালো একটি সুযোগ পান। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফরোয়ার্ডের শট ফিরিয়ে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি স্বাগতিক গোলরক্ষক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।