লাইফস্টাইল ডেস্ক : কিশমিশ দেখলেই এক মুঠো খেয়ে ফেলেন? কিছুতেই লোভ সামলাতে পারেন না। অথচ এটি আপনার শরীরের জন্য ভাল না খারাপ তাও জানেন না। তাহলে এখন উপায় কী?
কিশমিশ বেশ জনপ্রিয় এক ধরনের ড্রাই ফ্রুট যা, আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। ফলে আঙুরের মধ্যে যে সব গুণাগুণ আছে, তা কিশমিশেও পেয়ে যাবেন। কিন্তু কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?
কিশমিশে এমন কিছু গুনাগুন আছে, যা জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। তাই আপনার যদি কিশমিশ পছন্দ না হয়ে থাকে, তাহলে আজ থেকেই খেতে শুরু করুন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখলে তার গুণাগুণ আরও বেড়ে যায়। এর ফলে এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদানের পরিমাণও বাড়ে।
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। সেই ফাইবার হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ২ থেকে ৪টি কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিন।
এছাড়া কিশমিশে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৬টা কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে যে কোনও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এড়িয়ে যেতে পারবেন।
হাড় মজবুত রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কিশমিশ। এর পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও এটি খুব উপকারী। তাই এড়িয়ে গেলে চলবে না।
ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। সেই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকিও দূর করে। তাছাড়া কিশমিশে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি মুখের বাজে গন্ধকে দূর করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।