লাইফস্টাইল ডেস্ক : পিরিয়ডের প্রথম দু’দিন কারও মারাত্মক পেটের যন্ত্রণা হয়, আবার কারও একদমই কষ্ট হয় না। কিন্তু যাঁদের তলপেটে যন্ত্রণা হয়, শুধু তাঁরাই জানে এর কষ্ট। এই যন্ত্রণা কমাতে কেউ ওষুধের সাহায্য নেন, আবার কেউ গরম জলের সেঁক দেন। আজকাল বাজারে হিটিং প্যাডও এসে গিয়েছে মেন্সট্রুয়াল ক্র্যাম্প কমানোর জন্য। সাধারণত পর্যাপ্ত জল খেলে, হাল্কা শরীরচর্চা করলে শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা কম থাকে। অনেক সময় ভেষজ চাও দুর্দান্ত কাজ দেয়। এ ছাড়া কিছু ফল রয়েছে, যা ঋতুস্রাব চলাকালীন তলপেটের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।
কলা
কলার মধ্যে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এই সব পুষ্টি জরায়ুর পেশিকে শিথিল করে, পেট ফাঁপার সমস্যা কমায় এবং মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পিরিয়ডের সময় ব্লোটিং হোক কিংবা মুড সুইং, কলা খেলেই সুস্থ থাকবেন।
আনারস
এই ফলের মধ্যে ব্রোমেলিন রয়েছে। এই এনজ়াইম শারীরিক প্রদাহ কমায়, পেশিকে শিথিল করে এবং ব্যথা-যন্ত্রণা কমায়। রোজ এক কাপ আনারস খেলে পিরিয়ডের সময় কষ্ট কম হবে।
কমলালেবু
এখন বাজারে ঢেলে কমলালেবু বিক্রি হচ্ছে। এই সময় কমলালেবু খেলে পিরিয়ডের সমস্যা এড়াতে পারবেন। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা পেশির ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে এবং মুড সুইং কমাতে সাহায্য করে।
পাকা পেঁপে
ওজন কমানো হোক কিংবা পিসিওডি-এর (পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম) উপসর্গকে নিয়ন্ত্রণে রাখা— পাকা পেঁপে দুর্দান্ত কাজ দেয়। এই ফলের মধ্যে পাপাইন নামের যোগ রয়েছে, যা পেশির সংকোচন কমাতে এবং হরমোনের ভারসাম্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। রোজ পাকা পেঁপে খাওয়ার মতো ভালো জিনিস আর কিছু নেই। পিরিয়ডের সময়ও পাকা পেঁপে খেলে দুর্দান্ত উপকার পাবেন।
তরমুজ
আজকাল সারা বছরই সব ফল পাওয়া যায়। এই গ্রীষ্মকালীন ফল জলে ভরপুর। তা ছাড়া এতে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। পিরিয়ডের সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে তরমুজ। এই ফল খেলে ব্লোটিংয়ের সমস্যা এবং পিরিয়ড ক্র্যাম্প কমবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।