লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাঙালি জাতির প্রধান খাদ্য ভাত। তাইতো কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। অর্থাৎ, বাঙালির মাছ-ভাত ছাড়া হয় না। তবে মাছ থাকুক বা না থাকুক, ভাত কিন্তু ঠিকই নিয়মিত খাওয়া হয়। যেকোনো আয়োজনই হোক না কেন, যত খাবারের পদই থাকুক―সবশেষ ভাত থাকবেই।
বাঙ্গালিদের ঘরে ঘরে রোজ তিন বেলা ভাত খাওয়ার চল। যদিও শহরে কেউ কেউ দুই বেলা ভাত খান। এক বেলা রুটি। কেউবা ডায়েটে জন্য কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে আহারে ভাত কাটছাট করেন। কিন্তু তারপরও ভাত খাওয়া যেনো চাই-ই চাই!
তবে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, দিনে একবার ভাত খাওয়া কোনও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। ভাত চাইলে তিন বেলাও খাওয়া যায়। তবে সব কিছুই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
ভাতের পুষ্টিগুণ
ভাত হল কার্বহাইড্রেটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান দিয়েই শরীর নিজের জন্য শক্তি অর্জন করে। তাই কর্মচঞ্চল জীবন কাটাতে চাইলে নিয়মিত ভাত খেতেই হবে।
ভাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৭০-এর বেশি। রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জাতীয় খাবার (ডাল ও শাক-সবজি ইত্যাদি) ডায়েটে রাখা উচিত।
তিন বেলা কি ভাত খাওয়া যায়?
পুষ্টিবিদরা বলেন, ভাত অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। তাই যে কোনও মানুষ চাইলে নির্দ্বিধায় ৩ বেলা ভাত খেতে পারেন। এমনকী জাপানের অনেক মানুষই ৩ বেলা ভাত খান। তারপরও তাঁরা একদম সুস্থ-সবল জীবনযাপন করেন। তাঁদের পিছু নিতে পারে না কোনও অসুখ। তাই কেউ চাইলে অনায়াসে ৩ বেলা ভাত খেতে পারেন। তাতে সমস্যার কিছু নেই। তবে ৩ বেলা ভাত খেলে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
১. পরিমাণে কম ভাত খান
ক্ষুধার মধ্যে অনেকেই একগাদা ভাত একসঙ্গে খেয়ে নেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাঁদের পিছু নেয় একাধিক সমস্যা। ১৫০ গ্রাম ভাতে ২০০ ক্যালোরি থাকে। প্রয়োজনের বেশি ভাত খাওয়ায় রাশ টানতে না পারলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা অসুখ বাসা বাঁধে। এতে উপস্থিত স্টার্চ এবং রিফাইন্ড সুগার ওবেসিটির সমস্যা ডেকে আনে।
তাই একসঙ্গে একগাদা ভাত খাওয়া মোটেও উচিত না। বিশেষত, যাঁরা ৩ বেলা ভাত খেতে চাইছেন, তাঁরা সকাল, দুপুর এবং রাতে অল্প পরিমাণে ভাত খান। সেই সঙ্গে ডায়েটে জায়গা করে দিন শাক, সবজি, মাছ, মাংস এবং ডিম। তাতেই উপকার পাবেন।
২. ব্রাউন রাইস খান
সাদা ভাতে ফাইবার কিছুটা কম থাকে। যেই কারণে সাদা ভাত খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। এমনকী খুব দ্রুত খিদে পেয়ে যায়। তাই সাদা চালের ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস বা লাল চাল খেতে পারেন। তাতে শরীরে ফাইবারের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে আরও বেশি পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ মিলবে। তাই তো আজকাল পুষ্টিবিজ্ঞানীরা নিয়মিত ব্রাউন রাইস খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৩. ডায়াবেটিসে ভাত
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কিছুটা বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ভাত খাওয়া নিয়ে ভয় থাকে। তবে ভাতের সঙ্গে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক, সবজি খাওয়া হয় তাহলে একদমই সমস্যা হয় না। তাই সুগার রোগীদের ডায়েটেও প্রয়োজন মতো ভাত রাখা হয়। তবে ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই পরিমিত পরিমাণে ভাত খাওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।