জুমবাংলা ডেস্ক : এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশীয় পর্যবেক্ষকের সংখ্যা কমছে। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৬৮ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে ঢাকাভিত্তিক ২০টি, বাকিগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকার। তালিকায় বিচিত্র নামের কিছু সংস্থাও রয়েছে।
গত সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। সেসব সংস্থার নিবন্ধনের পাঁচ বছরের মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে।
এবার বাছাই করা ৬৮টি সংস্থার বিরুদ্ধে দাবি, আপত্তি, অভিযোগের বিষয়ে ১৫ দিনের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে যাচ্ছে ইসি। দাবি বা আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্তভাবে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেবে ইসি।
আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আশাদুল হকের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এবার বাছাই করা সংস্থার মধ্যে ৪০টির নিবন্ধন আগেও ছিল। অন্য ২৮টি নতুন। তবে এই ৬৮ সংস্থার তালিকায় রাখা হয়নি সম্প্রতি তৎপর ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনকে।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন গত সংসদ নির্বাচনে তৎপরতা রাখে। এই দুটি সংস্থার প্রধান একই ব্যক্তি।
গত ২ আগস্ট নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দেশের ২১১টি সংস্থা পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ৯৫টি সংস্থাকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে ৩১৯টি সংস্থা এ বিষয়ে আবেদন করে।
এর মধ্যে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ১৩৮টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকার ২৪টি সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আপত্তি জানায় এবং সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে। আওয়ামী লীগ আপত্তি জানায় ২০টি সংস্থার বিরুদ্ধে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সে অনুরোধ রক্ষা করেনি। দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ ধরনের আপত্তি ও অনুরোধ নির্বাচন কমিশন আমলে নেয়নি। তবে গত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ছিল অনেকটাই দায়সারা।
তালিকায় যে ৬৮ সংস্থা
যে ৬৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য তালিকায় রাখা হয়েছে সেগুলো হলো- মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন, অগ্রদূত সংস্থা, এক্টিভিটি ফর রিফরমেশন অফ বেসিক নিডস, হাইলাইট ফাউন্ডেশন, মুভ ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ, ডিজঅ্যাবিলিটি ইন কোজিশন এক্টিভিটিস, আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা, আব্দুল মমেন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এসডাপ, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, লুৎফর রহমান ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যুব উন্নয়ন সংস্থা, শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র, বঞ্চিতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, এসকে কল্যাণী ফাউন্ডেশন, সোসাইটি ফর সোস্যাল এডভান্সমেন্ট অফ রুরাল পিপল, সেতু রুরাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটি, সোসাইটি ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিহেভিলিটেশন, রুরাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট, ডেভলপমেন্ট হেল্পিং কী, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশন, বাঁচতে শেখা, ডপস ফাউন্ডেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অফ বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট ফর এনভারমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভলানটারী অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট, ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট সেন্টার, জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি, ডেভলপমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড পিস, বেসিক, হিউম্যান রাইটস ভয়েস, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা, ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, গরিব উন্নয়ন সংস্থা, সমাহার-মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেন, সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, হাফেজ্জি চ্যারিটেবল সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, ডেভেলপমেন্ট অফ মহিলা সোসাইটি, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন, সোশ্যাল ইকুয়ালিটি ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট, ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেগস অফ হোপ, সমন্বিত নারী উন্নয়ন সংস্থা, পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা, সোসাইটি ফর হিউম্যান ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড লাস্টিং ডেভেলপমেন্ট, সেজুতি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, এসো জাতি গড়ি, ওয়েসডা, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড কো অপারেশন অর্গানাইজেশন, ফোরাম ফোর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, প্রকাশ গণকেন্দ্র, রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি হিডস, রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ, গ্রাাম উন্নয়ন কর্ম, ইকো কনসার্ন ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র ও এসো বাঁচতে শিখি (এবাস)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।