জুমবাংলা ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখনো কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। যদিও একই সময়ে বাড়তি সবজির দাম কমে স্বস্তি ফিরেছে। ঢাকার খোলা বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। যেখানে একই সময়ের ব্যবধানে সবজিভেদে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে ডিমও। শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর সিপাহীবাগ, সেগুনবাগিচা ও কাওরান বাজারে পণ্যের দামের এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে বাজার ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। যারা প্রয়োজনে বাজারে এসেছেন তারা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন।
খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট ও কাটারিভোগ ৭০-৭৫ টাকা, জিরাশাইল ৬৮-৭০ টাকা ও ব্রি-২৮ ও ২৯ চাল ৫৮-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত মাসের মাঝখানে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পরবর্তীতে কারফিউয়ের কারণে পরিবহন সমস্যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য সরবরাহে বিঘ্নের ঘটনায় দাম বেড়ে যায়। তবে গত কয়েক দিনে কারফিউ শিথিল করায় পণ্য সরবরাহ বাড়ায় সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমে আসছে। তবে চালের দাম কমেনি।
এজন্য খুচরাও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন মিল মালিকদের। এদিকে নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বাজারে ধান ১২৫০-১৫২০ টাকা মণ। গত একমাসে প্রকারভেদে সবধরনের ধানের দাম মনে ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। চালকল মালিকরা বেশি দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে খরচ বেশি পড়ছে। যে কারণে চালের দাম বেড়েছে।
এদিকে চালের দাম বেশি হলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কমেছে। এর মধ্যে মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, ধুন্দল, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া, করল্লা, কাঁকড়ল, কচুমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে আলুর কেজি এখনো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এদিকে সবচেয়ে বেশি কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় উঠে যায়। যা গতকাল ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কিছুটা দাম কমেছে ডিমেরও। গতকাল বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি রংয়ের ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা এক সপ্তাহ আগে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকাতেও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ইলিশের ভরা মৌসুমে বাজারে কাঙ্ক্ষিত দামে মিলছে না মাছটি। যে কারণে অন্যান্য মাছের দামও তুলনামূলক বেশি। বাজারে ৮০০ টাকার নিচে ছোট জাটকা ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে না। ৭০০-৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ১ কেজি ওজন হলে ১৫০০-১৮০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।