লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। বিভিন্ন খাদ্যগুণ রয়েছে ডিমে। এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। এসব উপাদান একত্রে মিলে ক্লান্তি দূর করে। ডিমের কুসুমে থাকা ফ্যাট চটজলদি শরীরে এনার্জি পুরে দেয়। পাশাপাশি এই ফ্যাট বিভিন্ন ভিটামিনকে শরীরে শোষণে সাহায্য করে। ডিমে থাকা প্রোটিন আমাদের দেহের হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে। ডিমে থাকা প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতও ভালো রাখে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শরীরের সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয়। ডিম সেরোটোনিন তৈরির ভালো উপাদান। এতে আরও রয়েছে ফলিক এসিড যা মুড বুস্টার হিসেবে কাজ করে। তাহলে জেনে নিই ডিম কীভাবে খেলে পুষ্টিগুণ ভালোমতো পাওয়া যায়—
তেলবিহীন পোচ: প্রথমে ডিমটা সাবধানে ভেঙে নিন একটি বাটিতে। এমনভাবে ভাঙতে হবে যেন কুসুম আস্ত থাকে, ছড়িয়ে না পড়ে। এর ওপর স্বাদ অনুযায়ী গোলমরিচ ও লবণ ছিটিয়ে দিন। এবার একটি পাত্রে ভিনেগার দিয়ে অল্প পানি ফুটিয়ে তার মধ্যে সাবধানে ছেড়ে দিন এই ভাঙা ডিম। পোচ তৈরি হয়ে গেলে ঝাঁজর দিয়ে পানি ঝরিয়ে তুলে নিন। এমন পোচে তেল লাগে না বলে ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
ফুল বয়েল: ফুল বয়েলড ডিম শুধু খাওয়াসহ সালাদ বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে খাওয়া যায়। লবণ পানিতে ১০ মিনিটি সিদ্ধ করলেই হবে। ফুল বয়েল ডিম সহজে হজম হয়।
হাফ বয়েল: ডিমের বাইরের সাদা অংশ ভালো মতো লবণ পানিতে ৫ মিনিটি সিদ্ধ করতে হবে। আর কুসুম আধা সিদ্ধ থাকবে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ সবাই সকালের নাস্তায় একটি ডিম খেতে পারেন বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। তবে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতার মতো শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খেতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।