আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজাদ কাশ্মির ও পাকিস্তানের অন্যান্য জায়গায় হামলা চালানোর একদিন পর পাকিস্তানে আবারও হামলা চালিয়েছে ভারত। পাক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যটি বলেছে, ভারতীয়রা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালাতে হামলা চালিয়েছে। জিও নিউজ জানিয়েছে, পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালার গুজরাটের ডিঙ্গা এলাকার একটি মাঠে ড্রোন পাঠায় ভারত। যা সেখানকার একটি মাঠে গিয়ে আছড়ে পড়ে।
এরপর পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, একটি রেঁস্তোরায় বসে তারা খাবার খাচ্ছিলেন। তখন বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। তবে এ ড্রোনের আঘাতে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার মধ্যে বুধবার ভোরে নয়াদিল্লি যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আগারঘচি। গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় তেহরান। গত সপ্তাহে তিনি পাকিস্তান সফর করেন। আজ এসেছেন ভারতে। তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারত আজাদ কাশ্মির ও পাকিস্তানের অন্যান্য জায়গায় হামলা চালানোর পর পাকিস্তানের বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিক পাল্টা হামলা শুরু করে। এ সময় ভারতে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়।
পাকিস্তানের এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই দেশের বিমানের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ডগ ফাইট (সম্মুখ লড়াই) হয়। আর এ যুদ্ধকে আধুনিক সময়ের সবচেয়ে ‘বড় এবং দীর্ঘ ডগ ফাইট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ১২৫টি যুদ্ধবিমান পাল্টা হামলায় অংশ নেয়। তবে দুই দেশের কোনো বিমানই একে অপরের অংশে প্রবেশ করেনি। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারতীয় বিমানের মধ্যে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকে মিসাইল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
২০১৯ সালে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের মধ্যে ডগফাইট হয়েছিল। সেবার এক ভারতীয় বিমান নিজেদের ভূখণ্ডে ভূপাতিত করেছিল পাকিস্তান। ওই সময় অভিনন্দন নামে এক পাইলটকে আটক করে তাকে টিভির সামনে আনা হয়েছিল। তবে দুই দেশের কেউই এবার এমনটি চায়নি। তাই কোনো দেশই তাদের পাইলটদের সীমান্ত অতিক্রম করতে অনুমোদন দেয়নি।
এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ভারতের বিমানকে একাধিকবার চেষ্টা করতে হয়েছে। এ সময় সম্ভাব্য হামলাস্থলের সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব সতর্ক করার চেষ্টা করেছে পাক সেনাবাহিনী। এতে তারা হতাহতের সংখ্যা অনেকটা কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের এ কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।