স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম বারের মতো ইংলিশদের বাংলাওয়াশ করলো বাংলাদেশ দল। আগেই প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। এবার সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংলিশদের ১৬ রানে হারিয়ে বাংলাওয়াশের স্বাদ দিল টাইগাররা। যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমবার এমন কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সফরকারীরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সল্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অভিষিক্ত তানভীর ইসলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার প্রথম উইকেট।
অবশ্য ৫ রানে সল্টকে হারানোর পর মালান-বাটলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। বিশেষ করে ডেভিড মালান এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রাখেন এই ওপেনার।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মালান সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ৪৩ বল খেলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৩ রান করে মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মালান ফেরার পরের বলেই রান আউটে কাটা পড়েন বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান। একই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে আবারও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। বিপরীতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় ইংল্যান্ড।
এরপর মঈন আলিকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ৯ রান করা এই অলরাউন্ডারকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। একই ওভারের শেষ বলে বেন ডাকেটকে বোল্ড করেন তাসকিন। এর ফলে ২ উইকেটে ১০০ থেকে ১২৩ এ পৌঁছাতে আরও তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই স্যাম কারানকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর লেগের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলে ইংল্যান্ড।
এর আগে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে লিটন আর শান্তর ব্যাটে ভর করে ১৫৮ রানের পুঁজি গড়ে স্বাগতিকরা।
স্বপ্নের এক সিরিজ কাটলো বাংলাদেশের। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এসে পেলো ধবলধোলাইয়ের লজ্জা। তার চেয়েও বড় কথা, এবারের বাংলাদেশ দলটি ছিল অনেকটাই তারুণ্যনির্ভর। তরুণরাই দেখিয়েছেন বাতিঘর, জিতিয়েছেন দলকে।
পুরো সফরে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি লিটন দাস। অবশেষে শেষ ম্যাচে এসে লিটন খেলেছেন টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস।
লিটনের ৫৭ বলে ১০ চার আর ১ ছক্কায় গড়া ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে লিটনের হাতে।
তবে সিরিজসেরা হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত তিন ম্যাচেই রান পেয়েছেন (আগের দুই ম্যাচে ৫১ আর অপরাজিত ৪৬)। আজ ৩৬ বলে খেলেছেন ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস। সবমিলিয়ে এই সিরিজে সর্বোচ্চ রান (১৪৪) সংগ্রাহক এই বাঁহাতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।