বিনোদন ডেস্ক : সমাজে একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় অবহেলা, কটু কথা কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতির স্বীকার হলেও মৃত্যুর পর হয়ে যায় সে মেধাবী, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব কিংবা কিংবদন্তি কেউ। অর্থাৎ, মৃত্যুর পর একজনের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে যেভাবে আলোচনা হয়, জীবদ্দশায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার উল্টোটা দেখা যায়। এ যেন সমাজের নিত্য এক রূপ। এ যেন সামাজিক হিসেবে মানুষরূপী জীবের দ্বৈত চরিত্র।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন: ‘আমি মরলে আমায় নিয়ে যেন কোনো ইন্ডাস্ট্রি আর মিডিয়ার সার্কাস না হয়।’ ভক্তদের মনে প্রশ্ন: হঠাৎ শ্রীলেখার এমন বিস্ফোরক স্ট্যাটাসের পেছনে কারণ কী?
ফেসবুকে এমন পোস্টের কারণ সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দুটি কারণ দেখান অভিনেত্রী শ্রীলেখা। প্রথমত, বেঁচে থাকতে কেউ খোঁজ নেবেন না; কিন্তু মৃত্যুর পর সবাই জড়ো হবেন। এমনটা তিনি কখনোই চান না। দ্বিতীয়ত, জীবদ্দশায় তার শুধু নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা হবে আর মৃত্যুর পর সব ভালো দিক উঠে আসবে আলোচনায়, এটি তার কাম্য নয়। এমনকি তার মৃত্যুর পর শেষ যাত্রায় আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষ ছাড়া আর কেউ শামিল হোক এমনটাও চান না তিনি।
খারাপ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শুটিংয়ে হেনস্তা করত : প্রিয়াঙ্কা
জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু নাড়া দিয়েছে শ্রীলেখাকে। গত ২৪ মার্চ হঠাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে ৫৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান টালিউডের এ অভিনেতা। মূলত অভিষেকের মৃত্যুতেই অভিমান ভরা কথায় ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে অকপট স্বীকারোক্তি তার। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর আগে একটি ইচ্ছাপত্র লিখে যেতে চান বলেও জানান এই অভিনেত্রী।
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।