আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্পর্কের ভিত তৈরি হয় ভালোবাসা এবং বিশ্বাসেই। কিন্তু সেই ভিতই যখন নড়ে যায়, সম্পর্ক ধসে পড়তে খুব বেশি সময় লাগে না! ভালোবাসা যখন প্রত্যেকের জীবনে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, তবে কেন মানুষ নিজের সঙ্গীকে ঠকান? এর পিছনে অনেক কারণই লুকিয়ে থাকে। কেউ রাগের মাথায় এই কাজ করে থাকেন। কেউ শুধুমাত্র মোহের কারণেই দ্বিতীয় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
তবে মহিলাদের ক্ষেত্রেও কি কারণগুলি একই রকম? কেন তাঁরা পরকীয়ায় লিপ্ত হন? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় যে, বিশেষ কিছু কারণেই তাঁরা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলাম
“আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হঠকারিতা করেছিলাম। মাত্র ২৪ বছর বয়সে আমি বিয়ে করি। আমি শুধুই স্ত্রীর ভূমিকা পালন করছিলাম। বাচ্চা প্রতিপালন করছিলাম। একদিন মনে হল, এটা আমার জীবন নয়। আমি নিজের জন্যে সময় বের করার চেষ্টা করলাম। তখন যেন খাঁচার দরজা খুলে গেল!
বাইরে নতুন জগৎ আমার অপেক্ষায় ছিল। আমার স্বামী রোম্যান্টিক ছিল না। আমার কথা ভাবতও না। তাই অন্য কারও কাছেই আমি এই সুখের খোঁজ করলাম। খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।”
দমবন্ধ লাগত
“আমার স্বামী ‘আত্মপ্রেমী’, মনোবিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে নার্সিসিস্ট বলা হয়! ও আমার সব কাজের নিন্দা করত। আমার সমালোচনা করত। আমায় খুশি করার জন্যে এক মুহূর্তও ভাবেনি।
ওর সঙ্গে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ে ভাঙা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কারণ, আমাদের দুই পরিবারও জড়িয়ে ছিল। তাই অন্য কোনওভাবেই আমাকে আনন্দ খুঁজে নিতে হয়। গোপনে নতুন সম্পর্ক খুঁজে নিই আমি।”
স্বামী আমার কথা কোনওদিন ভাবেনি
“আমার স্বামী নিজের বাবা-মায়ের কথাই সারাদিন ভাবত। আমি যেন ওর জীবনে কেউ নই! প্রথম প্রথম ওকে অনেকবার বুঝিয়েছি। কিন্তু ও যেন কিছুতেই শুনতে রাজি নয়! আমার মনে হতে শুরু করে যে, আমার সঙ্গে শুধুই খারাপ হচ্ছে। আমার খুব কষ্ট হত। ও একবারও ফিরে তাকায়নি।
পরিস্থিতি ঠিক করার জন্যে কোনও এফর্ট দেয়নি। এই একই সময়ে অন্য় কেউ আমার প্রতি সামান্য আগ্রহ দেখায়, আমার মন গলে যায়। সেখানেই শুরু হয় আমার অ্যাফেয়ার…”
অসুখী যৌনজীবন
“আমাদের যৌনজীবন খুব খারাপ ছিল। আমি কিন্তু প্রথমেই হাল ছেড়ে দিইনি। আমি আমার প্রেমিককে বারবার করে বুঝিয়েছিলাম। ওকে গাইডও করেছিলাম।
কিন্তু ওর মধ্য়ে কোনও বদল দেখিনি। ও শুধু নিজের সুখটাই দেখত! আমারও আর ভালো লাগছিল না। তাই আমি সম্পর্কটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিই। কারণ, মানসিক শান্তির মতোই শারীরিক পরিতৃপ্তিও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
সম্পর্কটা একঘেয়ে হয়ে যায়
“আমাদের সম্পর্ক খুবই একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল। আমরা অফিসের পরে একসঙ্গে বসে টিভি দেখতাম। আমরা ডেট নাইটেও যেতাম না। কোনও সারপ্রাইজ ছিল না। একে অপরকে উপহারও দেওয়া হত না। সম্পর্কে এমন কিছু ছিল না, যা আবার পুরনো দিন ফিরিয়ে আনতে পারে। আমি প্রথমেই হাল ছেড়ে দিইনি। আমি স্বামীকে এই সমস্যাগুলোর কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও কোনও মাথা ঘামায়নি। ওর কিছু যায়ও আসেনি। সেই সময়ে আমি একটা ভুল করি। ওকে প্রতারণা করি। কিন্তু আমি বুঝতেও পারি যে, স্বামীর প্রতি আর কোনও অনুভূতিই আমার অবশিষ্ট নেই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।