জুমবাংলা ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দেশজুড়ে চলছে কারফিউ। সময়টা আরও বেশি একঘেয়ে, বিরক্তিকর আর উৎকণ্ঠার হয়ে উঠেছে যখন সারাদেশে সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।ইতোমধ্যে সারাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মোবাইলে ফোরজি ইন্টারনেট সংযোগও মিলবে—এমনটাই বলছে সরকার।
বুধবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে এমনটাই আভাস দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে ফেসবুক কবে চালু হবে সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো আভাস মেলেনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কিছু এলাকায় ফেসবুক সচল পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের তরফ থেকে ফেসবুক চালু হওয়া নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তার নিজস্ব বক্তব্য শেষ হলে মোবাইল ইন্টারনেট বা ফোরজি চালু করা নিয়ে প্রশ্ন আসে সাংবাদিকদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, আগামী শুক্র বা শনিবার অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইলফোন অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে বসবেন। এরপর তিনি রোববার থেকে ফোরজি চালু করার বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরপরই ফেসবুক চালু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন আসলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ফেসবুক এদেশে ব্যবসা করে, এখান থেকে অর্থ উপার্জন করে। কিন্ত এদেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়গুলো কখনোই আমলে নেয় না। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের আইনকানুন মেনে, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে সেইসব দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামাজিক যোগাযোগের এ ধরনের মাধ্যমে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জুনাইদ আহমেদ পলক এ সময় বাংলালিংকের টফি, রবির বিঞ্জ ও গ্রামীণফোনের বায়োস্কোপের প্রশংসা করে বলেন, এদেশীয় যেসব অ্যাপ বাংলাদেশে রয়েছে, আগামীতেও এ ধরনের বিনিয়োগ আসলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। তবে ফেসবুকের বিষয়ে তিনি বলেন, ফেসবুক যদি এই সহিংসতার সময় খোলা থাকতো, তাহলে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সহিংসতা আরও তীব্র আকার ধারণ করতো।
প্রতিমন্ত্রী ফেসবুককে চিঠি দেওয়া হবে উল্লেখ করে বলেন, তাদেরকে আমরা অফিসিয়ালি চিঠি দেবো। সহিংসতা প্রতিরোধে তাদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাইবো। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারার ভিডিও যদি ফেসবুকে আপলোড করা হতো, তাহলে এ নিয়ে সহিংসতা আরও তীব্রতর হতে পারতো। ফেসবুককে এসব বিষয় বুঝতে হবে।
গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ফেসবুক বন্ধের বিষয়টি আলোচনা হয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে কয়েকজন সচিব এই দাবি তুলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ হয়নি। তবে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির সময় বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ছিল।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ও অ্যানালিটিক্সি প্ল্যাটফর্ম নোপোলিয়নক্যাটের এক তথ্য বলছে, গত বছর জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেসবুকের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।