চুল আমাদের সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অপুষ্টি, মানসিক চাপ কিংবা ভুল যত্নের কারণে অনেক সময় চুল ঝরে যায় বা নতুন চুল গজাতে দেরি হয়। স্বাস্থ্যকর ও ঘন চুল পেতে চাই সঠিক পুষ্টি। বিশেষ করে কিছু ভিটামিন সরাসরি চুলের বৃদ্ধি ও দৃঢ়তায় ভূমিকা রাখে। কোন কোন ভিটামিন চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে তা জেনে নিন।
১. বায়োটিন (Vitamin B7)
চুলের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিটামিন হলো বায়োটিন। এটি কেরাটিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা চুলের মূল প্রোটিন। বায়োটিনের অভাবে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং গজাতে দেরি হয়।
যেসব খাবারে পাওয়া যায়: ডিম, বাদাম, বীজ, স্যামন মাছ ও মিষ্টি আলু।
২. ভিটামিন ডি (Sunshine Vitamin)
ভিটামিন ডি নতুন হেয়ার ফলিকল তৈরিতে সহায়তা করে। এর ঘাটতি থাকলে চুল পাতলা হয়ে যায়, এমনকি অ্যালোপেসিয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
রোদের পাশাপাশি পাওয়া যায়: তেলযুক্ত মাছ, মাশরুম, দুধ ও ফোর্টিফায়েড খাবার।
৩. ভিটামিন ই
ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ফ্রি-র্যাডিকেলসের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
যেসব খাবারে পাওয়া যায়: কাঠবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, পালং শাক ও অ্যাভোকাডো।
৪. ভিটামিন এ
শরীরের কোষ বৃদ্ধি ও পুনর্গঠনে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি চুলের কোষকে শক্তিশালী করে। তবে এর অভাব যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করলেও চুল পড়তে পারে।
যেসব খাবারে পাওয়া যায়: গাজর, মিষ্টি আলু, শাকপাতা ও ডিম।
৫. ভিটামিন সি
ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন তৈরি করে, যা চুলের গঠনকে মজবুত রাখে। এছাড়া এটি আয়রন শোষণে সাহায্য করে, যা চুল গজানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
যেসব খাবারে পাওয়া যায়: লেবুজাতীয় ফল, বেরি, ক্যাপসিকাম ও পেয়ারা।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
- ভিটামিনের ঘাটতি নিশ্চিত না হয়ে অযথা সাপ্লিমেন্ট খাবেন না।
- খাবার থেকে ভিটামিন পাওয়া সাপ্লিমেন্টের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ।
- ভিটামিন এ ও ডি অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
- চুল প্রতি মাসে গড়ে আধা ইঞ্চি বাড়ে, তাই ভিটামিনের প্রভাব বুঝতে অন্তত ২–৩ মাস সময় লাগতে পারে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।