জুমবাংলা ডেস্ক : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক শিক্ষকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন তরুণী। অনশনে বসার সময় শিক্ষক সুকান্ত মন্ডলের মা ওই তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী।
পরে অবস্থা বেগতিক দেখে শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল ঘর তালা মেরে পরিবারের লোকজনসহ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গুয়াদানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল ওই গ্রামের সুনীল মন্ডলের ছেলে ও উপজেলার ঘোষেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা তরুণী জানান, সুকান্ত মন্ডলের সাথে আমি প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চাইনি। তখন সুকান্ত তার বন্ধু পূর্ণেন্দু ও রমেনকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তখন তারা আমাকে অনেক বুঝিয়ে প্রেম করতে রাজি করায়।
তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে আমি রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে বিয়ে করতে অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সুকান্ত। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে গিয়েও এর কোনো সমাধান পাইনি। তাই আমি বিয়ের দাবিতে অনশন করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া তাদের বাড়িতে গিয়েও ঘরটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। তাই ওই শিক্ষকের মায়েরও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে ওই তরুণী থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।