আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা বাড়াতে পারে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের উদ্দেশে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বৃহস্পতিবার এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের ট্যাংক সরবরাহের তোড়জোড়ের মধ্যে এই হুঁশিয়ারি দিলেন সাবেক রুশ নেতা।
রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি মেদভেদেভ ‘টেলিগ্রাম’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় বলেন, ‘প্রচলিত যুদ্ধে একটি পরমাণু অস্ত্রধারী দেশের পরাজয় পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল করে তুলতে পারে।’
রুশ সরকারের প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান মেদভেদেভ আরো বলেন, ‘পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো কখনো এমন কোনো বড় সংঘর্ষে হারেনি যার ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।’
রাশিয়ার ক্ষেত্রে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের রাষ্ট্রীয় নীতি হচ্ছে, প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে রুশ ফেডারেশনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ এমন সময় পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন, যখন পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাংক সরবরাহ করা নিয়ে বেশ ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো পরাশক্তি ট্যাংক সরবরাহের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনার জন্য ন্যাটো জোটের সদস্য এবং তাদের মিত্র কয়েকটি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে শুক্রবার মিলিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে মেদভেদেভ বলেন, ‘এর ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি সম্পর্কে পশ্চিমাদের চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।’
ইউক্রেন আক্রমণের শুরুর দিকে পুতিন প্রতিবেশী দেশটিতে তার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানকে’ রাশিয়ার অস্তিত্বের জন্য পরিচালিত বলে উল্লেখ করেন। পুতিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, এ যুদ্ধে জিততে তিনি সব ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করবেন না। রাশিয়া এক পর্যায়ে তার কৌশলগত পরমাণু বাহিনীকেও সক্রিয় পরিস্থিতিতে রেখেছিল। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।