স্পোর্টস ডেস্ক : আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রবিবার রাতেই কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে কিলিয়ান এমবাপ্পেদের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিওনেল মেসিরা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ফাইনালের ভেন্যু এই লুসাইল স্টেডিয়ামেই এখন পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচটি হলে এই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১০টি ম্যাচ। কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ৮৮ হাজার ৯৬৬ জন। তবে ফিফা বলছে, নির্দিষ্ট ম্যাচের জন্য ধারণক্ষমতায় সামান্য হেরফের হতে পারে।
এই লুসাইলেই চ্যাম্পিয়ন দলের সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মধ্য দিয়েই শেষ হবে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপের আসর।
যে ফাইনালে মাঠ ও মাঠের পরিবেশ বিবেচনায় ফরাসিদের তুলনায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে লা আলবিসেলেস্তেরা। কারণ, ফাইনালের আগেই মেসি-ডি পলরা যে এই মাঠে খেলে ফেলেছে চার চারটি ম্যাচ। যার ফলে ইতোমধ্যেই এই মাঠ ও মাঠের পরিবেশের সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছেন কোচ লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
যদিও এই মাঠেই বিশ্বকাপের চলতি আসরে প্রথম অঘটনের শিকার হয়েছিল আর্জেন্টাইনরা। সৌদি আরবের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিলো হট ফেভারিটরা।
পরে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মেসিরা। ‘সি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে এই মাঠেই খেলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। ওই ম্যাচে ২-০ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে দেয় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ পর্ব ছাড়াও ভাগ্যক্রমে আরও দু’বার লুসাইলে নেমেছিল আর্জেন্টিনা দল। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ২-২ গোল ব্যবধানে ড্র হলে টাইব্রেকারে ডাচদের ৩-৪ ব্যবধানে হারায় এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা। এ ছাড়া শেষ চারের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা ছাড়াও ব্রাজিল, পর্তুগাল, সার্বিয়া, উরুগুয়ে, ক্যামেরুন, সুইজারল্যান্ড খেলেছে এই মাঠে।
অন্যদিকে এবারই প্রথম এই মাঠে নামবে লা ব্লুজরা। তাই স্বাভাবিকভাবে বলাই যাচ্ছে, ফ্রান্সের জন্য এই মাঠ একেবারেই নতুন। মাঠ ও মাঠের কন্ডিশনের বিবেচনায় মেসিদের তুলনায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে ফরাসিদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।